কমরেড বিধান দাস, ঢাকা থেকেঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না বলে দাবী করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা: এম. এ. সামাদ।

আজ ৭ নভেম্বর ২০২০ইং শনিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম)’র উদ্যোগে ২১ দফা দাবীতে সমাবেশ ও দেশব্যাপী লাগাতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কমরেড ডা: এম. এ. সামাদ বলেন, “অসাধু মজুদদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, চিনি, আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়ছে। চললে চরম মুনাফাবাজি। ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একদিকে করোনা মহামারিতে জনগণের আর্থিক দুরাবস্থা অপরদিকের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে।”

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “একটি দেশ এভাবে চলতে পারে না। জনগণ অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হতে পারে না। অনতিবিলম্বে কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) এর ২১ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে- দ্রব্যপণ্যর মূল্য কমাও, স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও বিনা পয়সায় চিকিৎসা প্রদান বেকার ভাতা, দলীয় ও সরকারী আমলা কর্মচারীদের  লুটপাট বন্ধ,বন্ধ পাটকল চালু  মেজর সিনহা সহ বিনা বিচারে সকল হত্যাকান্ডের বিচার করো, ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারী ধর্মান্ধদের দ্রুত বিচার ও ধর্মান্ধদের হাতো নিহত জুয়েলের পরিবার কে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ, নারী ধর্ষণ ও মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকারের বিচারে স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল গঠন ও আইসিটি অ্যাক্টের নামে কালো আইন বাতিল ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন বাতিল ও সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দল পরিচালনার জন্য বাজেটে আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ, পুলিশ বাহিনীর বেতন দ্বিগুণ করে সংস্কার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার না করা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পাটমন্ত্রী সহ অযোগ্য দূর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বহিস্কার, সকল এমপি মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ ব্যাংক লুটেরা ও বিদেশে অর্থ পাচারকারিদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার  সরকারি দলের সীমাহীন চাঁদাবাজি বন্ধ ও সরকার থেকে রাজনৈতিক দালাল ও চাটুকারদের বহিস্কার করে দেশে প্রকৃত বিরোধী দল গঠন করে গণতন্ত্রকে হাস্যকর অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে অবাধ সুষ্ঠুভাবে মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ভোট ডাকাতির কলঙ্ক থেকে চিরতরে জাতিকে মুক্তি ও বিগত ১২ বছরে সরকারি দল যে অর্থ লুটপাট করেছে তা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ প্রদান।  

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিজ্ঞানী বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামসুল হক সরকার, দপ্তর সম্পাদক বিধান দাস, কমরেড তোবারক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় সংগঠক কমরেড সবুজ মিস্ত্রী, ছাত্রনেতা কমরেড আদিত্য রহমান সুমন, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম, কমরেড জবা আক্তার সহ পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে