ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের শত্রুতা করলে কেউই দলকে বাঁচাতে আসবে না।অন্যদিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউই আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে থামাতে পারবে না। ওবায়দুল কাদের শনিবার বন্দর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যদান কালে এ কথা বলেন।জেলার বাঁশখালী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যে শক্তি দেখিয়েছে তাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মতো কোন শক্তি নেই।আগামী দেড় বছর পর যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য সকল অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও গ্রপিং ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।দেশের মানুষকে খুশি করা আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ কারো সাথে কোন অসদাচারণ করে থাকলে তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। কারণ প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। দলীয় কতিপয় লোকের খারাপ কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ও দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ম্লান হতে পারে না।বিএনপিকে একটি ইস্যুভিত্তিক দল হিসেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বর্তমানে ভারত বিরোধীতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে এবং অতীতেও তারা এ ধরনের বহু ইস্যু তৈরি করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের কোন ইস্যুকেই মেনে নেয়নি।দেশের জাতীয় স্বার্থ ক্ষতি হয় ভারতের সাথে এমন কোন চুক্তি কখনো আওয়ামী লীগ করেনি এবং করবে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আমাদের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যদি তাদের সাথে কোন চুক্তি বা সমঝোতা করি তাহলে দেশের স্বার্থেই তা করা হবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদী জয়লাভ করার পর বিএনপি নেতারা মিষ্টি নিয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে গিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও হিলারী ক্লিনটন জয়লাভ করবে ভেবে তারা সেদেশের দূতাবাসেও মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টাও ব্যর্থ হবে।কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কোন ইসলামী দলের সাথে কোন চুক্তিতে যায়নি। মাদ্রাসার ছাত্রদের দেশের মানুষের মূল স্রোতের সাথে নিয়ে এসেছে মাত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা কোন ইসলামী দলের সাথে কোন চুক্তি করিনি, তাদের সনদের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের মূল স্রোতের সাথে নিয়ে এসেছি।’আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি)তে নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকি কখনো নেবে না। বিধান এবং নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। গত নির্বাচনও যেমন কারো জন্য থেমে থাকেনি তেমনি আগামী নির্বাচনও কারো জন্য বসে থাকবে না।’চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে