bangla_elephant

বিডি নীয়ালা নিউজ( ৩১ই জুলাই ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশের ভেতরে এসে আটকে পড়া বন্য হাতিটি খাদ্যের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

হাতিটিকে উদ্ধারের জন্য বন বিভাগের ১৭ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল গতকাল শনিবার থেকে হাতিটিকে অনুসরণ করছে।

হাতিটি এখন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নামে একটি গ্রামে অবস্থান করছে।

এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন হাতিটি বুক সমান পানিতে ডুবে বিশ্রাম করছিল বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

উদ্ধারকারী দলের নেতা বণ্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তাঁরা হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে অজ্ঞান করে উদ্ধার করার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছেন।

আগামী ৩রা অগাস্ট ভারতের বন বিভাগের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আসবার কথা রয়েছে।

ওই দলটি আসার আগেই হাতিটিকে তারা নিরাপদ হেফাজতে নিতে চান।

তবে এখন উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করায় তাঁরা হাতিটিকে অজ্ঞান করার জন্য কোন উঁচু ভূমি পাচ্ছেন না।

“আপনি জানেন, আমরা যদি পানির ভেতরে হাতিটিকে অজ্ঞান করি তাহলে সেটি মারা যাবে। হাতিটির নাক মুখ দিয়ে পানি ঢুকে পড়বে। তাই আমরা উঁচু জমি খুঁজছি”।

“উঁচু জমি পেলেই হাতিটিকে তাড়িয়ে সেখানে নিয়ে যাব এবং ট্রাঙ্কুলাইজার গান ব্যবহার করে অজ্ঞান করে কোন গাছের সাথে বেঁধে রাখব”।

এর আগে সিরাজগঞ্জেও একবার উদ্ধারকারী দল গিয়েছিল হাতিটিকে উদ্ধার করতে কিন্তু সেবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।

খাবারের অভাবে হাতিটি কিছুটা শুকিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করছিলেন মি: মল্লিক।

না খেতে পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে হাতিটি
হাতিটি এখন পর্যন্ত দু’একটি ঘরবাড়ি পদদলিত ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোন বড় ধরনের ক্ষতিসাধণ করেনি।

এর আগে হাতিটি যেসব অঞ্চলে বিচরণ করছিল সেখানে ধানক্ষেত ছিল এবং সেগুলো খেয়ে হাতিটি সবল ছিল।

কিন্তু বন্যার পানিতে ধানক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় হাতিটির খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।

বন বিভাগের উদ্ধারকারী দলটি স্থানীয় অধিবাসীদের সহযোগিতায় হাতিটিকে কলাগাছ খেতে দিচ্ছে, তবে তা হাতিটির জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানা যাচ্ছে।

এর আগে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, হাতিটির ওজন প্রায় ৫ টন এবং এই আকারের একটি হাতির দৈনিক ১৫০ কেজির মত খাদ্যের প্রয়োজন।

আসামে বন্যা ও পাহাড়ী ঢলের কারণে দলছুট হয়ে গত ২৭শে জুন বাংলাদেশে প্রবেশ করে এই হাতিটি।

এর পর চারশো কিলোমিটারেরও বেশী পথ পাড়ি দিয়ে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া হয়ে আবার জামালপুরে ফিরে যায় হাতিটি। সেখান থেকে হাতিটি আসে সিরাজগঞ্জে।

সিরাজগঞ্জ থেকে আবারো জামালপুরে ফেরত গেছে হাতিটি। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক মাসের বেশী সময়।

মি: মল্লিক জানাচ্ছেন, হাতিটি এখন পর্যন্ত দু’একটি ঘরবাড়ি পদদলিত ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোন বড় ধরনের ক্ষতিসাধণ করেনি।

উদ্ধারকারী দলটি এখন একটি ট্রলারে করে হাতিটিকে অনুসরণ করছে এবং মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে হাতিটি সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সচেতন করছে।

 

 

 

bbc

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে