ডেস্ক রিপোর্টঃ লেট অর্ডারে কার্যকর ব্যাটিং, বোলিংয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেয়া সেই সঙ্গে ম্যাচ শেষ করে আসা সব মিলিয়ে তাকে প্যাকেজ অলরাউন্ডার বলাই যায়। কিন্তু মিঃ ফিনিশার খ্যাত কার্যকরী এই অলরাউন্ডার নাসির হোসেন বেশ কদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে। তবে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে তার উপর ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তার প্রতিদানও দিলেন নাসির।
হংকংকে আট উইকেটে হারিয়ে ইমার্জিং কাপে উড়ন্ত সূচনা করা বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। সেখান থেকে সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে তুলেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। দলকে এনে দেন ২৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ। সেই সঙ্গে আরও একবার প্রমান দেন নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যেরও।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নেপালের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মাত্র ৩৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাসির হোসেন। রানের চাকা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দলকে টেনে তুলেন জাতীয় দলের তারকা এই দুই ক্রিকেটার।
৭৮ রানের জুটি গড়ার পথে মুমিনুল দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন নি বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। সাত চারে ৬১ রান করার পর সন্দীপ লানিচানের বলে অধিনায়ক গায়েন্দ্রা মাল্লার হাতে ধরা পরেন মুমিনুল।
সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রাখেন সহ অধিনায়ক নাসির। শেষ পর্যন্ত ১১৫ বলে ১২ চার ও দুই ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। মুমিনুলের ৬১, নাসিরের সেঞ্চুরি ও শেষ দিকে আবুল হাসান রাজুর ২৯ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দেয় ২৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ।
এবার বল হাতে লড়াইয়ের পালা বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৫৭/৯ (৫০ ওভার)
নাসির হোসেন ১০৯*, মুমিনুল হক ৬১, আবুল হাসান রাজু ২৯, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৪; অভিনাষ কর্ণ ৩/৪৬, সন্দীপ লামিচানে ২/৪১।
পি/এন