মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ নভেম্বর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন মামলার বাদীনি। জিডি নম্বর ৭৩৫ তারিখ ১৪/১১/১৯।
কিশোরগঞ্জ থানার সাধারণ ডায়েরী (জিডি) ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়ালপুকুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের মৃত্যু ইসাহাক আলীর ছেলে এবং রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ মা’ হাদুস সুফফা আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার মোহতামিম ইসা রুহুল্লা (৩৩) এর সাথে কাচারীপাড়া গ্রামের শাহিনা আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর শাহিনার স্বামী ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করতে থাকে। গত ১৮/০১/১৯ ইং তারিখ ইশা রুহুল্লা তার স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে বেদম মারপিট করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭/১/১৯ ইং তারিখে স্বামী,শশুর শাশুরীসহ ৫ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৭।
মামলার বাদীনি শাহিনা আক্তার বলেন, যৌতুক মামলায় আমার স্বামী গত ২০ অক্টোবর আদালতে আতœসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং ৭ নভেম্বর জামিনে বের হয়ে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর রাত আনুমানিক তিনটার সময় দলবলসহ আমার বাড়িতে এসে আমাকে ডাকাডাকি করে । আমি বাড়ির দরজা না খুললে সে বলে আমি মামলা তুলে না নিলে আমাকে ফেনির সোনাগাজির নুশরাতের মত অবস্থা করবে।। তাই আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।
এ ব্যাপারে শাহিনার স্বামী ইশারুহুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কখোনো মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীনীকে কোন ধরনের হুমকি প্রদান করিনি।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি এম হারুন অর রশিদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীনিকে হুমকির একটি জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে