ডেস্ক রিপোর্টঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, প্রায় ২ কোটি অদক্ষ নারী বর্তমানে বাসগৃহে আবদ্ধ রয়েছে।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব নারীকে অদক্ষ রেখে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী-সমাজ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে না আসলে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে না।
তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার কালচারাল একাডেমী মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা সংস্থার ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়িত ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের’ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারীদের মাঝে নগদ-অর্থ বিতরণের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদেরকে ফ্যাশন ডিজাইন, মৌমাছি ও মাশরুম চাষ, ক্যাটারিং এবং বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে এক কালীন ভাতাও প্রদান করা হয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহীন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আনোয়ারা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিরেন।
প্রতিমন্ত্রী সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নারীদেরকে ১৮ বছরের নিচের মেয়েদেরকে বিয়ে না দেয়ার বিষয়ে শপথ করান। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ের কারনে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হয়।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আইজিএ (ইনকাম জেনারেটিং এক্টিভিটি) প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে দুই লাখ নারীকে দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে,যাতে করে নারীরা ঘরে বসে লাখ টাকা উপার্জন করতে পারে।
পরে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় একট হোটেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ভিজিডি কার্যক্রমের উপকারভোগী নির্বাচনে নতুন একটি ডাটাবেইজের উদ্বোধন করেন।
এই ডাটাবেইজের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগীরা যাতে করে এক সাথে কয়েকটি ভাতা না নিতে পারে এবং একাধিকবার একই ভাতা নিতে না পারে তা বন্ধ করা যাবে ।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে