মোঃ রাব্বী সরকার, নারায়ণগঞ্জ থেকেঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর বরফকল ঘাটের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় চৌরঙ্গী পার্কের মালিক কাজি সাত্তার এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই ও দুই এ.এস.আই সহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ফাস্টফুডের মালিক জালাল উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়েছে। আগামী সেপ্টম্বরের ২৫ তারিখের মধ্যে পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসী পার্কের মালিক আব্দুস সাত্তার। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- ডিবির এ.এস.আই আমিনুল (৪৮), বকুল (৫০), এস.আই মিজান (৪৮) ও এসআই সায়েম (৪২)।

প্রসঙ্গত, ২৬ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় শহরের বরফকল এলাকার চৌরঙ্গি পার্ক সংলগ্ন ফাস্ট ফুডের দোকানে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের মারধরে জালাল উদ্দিন, স্ত্রী রীনা ইয়াসমিন ও তাদের দুই ছেলে আল আমিন এবং রবিন আহত হলে পরবর্তীতে জনতার হামলায় গুরুতর আহত হন নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মিজান ও সায়েমসহ আরো কয়েকজন। তাদের মধ্যে এস.আই মিজান ও সায়েমকে প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এছাড়াও আহত জালাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী রীনা ইয়াসমিন সহ দুই ছেলেকে প্রথমে ৩শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে রীনাকে ছাড়া বাকি তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) নূরে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম এবং ডিআই-১ সরাফতউল্লাহ। কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল বাদি হয়ে রোববার রাতেই সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে (মাই লাইফ) ফাস্টফুডের মালিক জালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী রীনা ইয়াসমীন এবং ছেলে রবীনসহ আরও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে