নারায়ণগঞ্জ থেকেঃ মাদকে  ছেঁয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল বক্তাবলী। ইউনিয়নটির প্রায় সবক’টি গ্রামেই মাদকের জোয়ার। এমন সংবাদ প্রায়ই গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

শস্যভান্ডারখ্যাত এই সবুজ-শ্যামল এলাকাটিতে এখন মরণনেশা ইয়াবার ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। এখানে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, ফোনেই পৌছে যায় অন্যান্য মাদকদ্রব্য।

২৬ জানুয়ারি বক্তাবলীর আনন্দ বাজারে মাদক বিরোধী সভায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা চালিয়ে ৫ জন আহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সতত্য স্বীকার করে এ বিষয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এম শওকত আলী বলেছিলেন, ‘মাদকের সাথে যেই জড়িত হোক তাদের কোন ছাড় নেই। সে যে দলেরই হোক।’

তবে এবার ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমেদ হৃদয়কে ১৯ বোতল  ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লার লালপুর এলাকার ডিআইটি মাঠ থেকে আটক করে র‌্যাব । এ সময় সাব্বিরের সহযোগী মো. হাবিব নামে এক যুবককেও আটক করেছে র‌্যাব । মো. হাবিব লালপুরের আবুল হোসেনের ছেলে।  এসময় মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা উক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এম শওকত আলী বলেন, মাদক এখন একটি সামাজিক ব্যাধী। যে মাদক বিক্রি করে এবং যে সেবন করে উভয়েই আইনের চোখে অপরাধী। সে যেই হউক তার  শাস্তি প্রচলিত আইনে হওয়া উচিত। আমি মাদকের বিরুদ্ধে ছিলাম ও আছি।

তিনি আরো বলেন,আমার গাড়ি চালক হাবিব আজকে আমার কাছ থেকে দুপুরের দিকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে গেছে। সে বলেছিল তার শরীর খারাপ আমি এ জন্য তাকে ছুটি দেই। কিন্তু সে যখন আমার ছেলের সাথে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে, তখন আমার আর বুঝার বাকি নেই যে, ছেলেকে বিপথে নেয়ার পিছনে তার হাত আছে।

আমি চাই আর কোন বাবাকে যেনো আমার মতো এমন পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে