ডেস্ক স্পোর্টসঃ দুই সেশনেই শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। সৌজন্যে অভিষিক্ত নাঈম হাসানের ৫ উইকেট। আজ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ইনিংসের শুরু থেকেই সফরকারীদের চেপে ধরে বাংলাদেশের স্পিনাররা। সমানতালে কিপ্টে বোলিং করে যান একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব-মিরাজদ-তাইজুলদের ছাড়িয়ে আজ নায়ক হয়ে যান ১৭ বছর বয়সী নাঈম। ঘূর্ণির মায়াজালে দিশেহারা হয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনের প্রথমভাগে ২৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ৭৮ রানের।

আজ শুক্রবার নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করতে নেমে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশি স্পিনাররা চেপে ধরে তাদের। একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও দারুণ বোলিং করেন। দলীয় ২৯ রানে কায়রন পাওয়েলকে (১৪) বোল্ড করে শুরু করেন তাইজুল। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে (১৩) সৌম্য সরকারের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। ওভারের শেষ বলে বোল্ড করে দেন শাই হোপকে (১)। ৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে উইন্ডিজ।

৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন সুনিল অ্যামব্রিস এবং রোস্টন চেইস। বিরতির আগে রোস্টন চেইসের ক্যাচ ছেড়ে সাকিবকে উইকেটবঞ্চিত করেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরান অভিষিক্ত নাঈম হাসান। ৩১ রান করে নাঈমের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন চেইস। ফিরতি ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও আঘাত হানেন নাঈম। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান সুনিল অ্যামব্রিস (১৯)। ৮৮ রানেই ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়ে যায় উইন্ডিজের।

৮৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন শিমরন হেটমায়ার। উইকেটকিপার শেন ডরউইচের সঙ্গে গড়েন ৯২ রানের দারুণ এক জুটি। হেটমায়ার ৪২ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তার ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারি এবং ৪ ওভার বাউন্ডারিতে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস থামে মিরাজের ঘূর্ণিতে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে। এরপর দেবেন্দ্র বিশু নাঈম হাসানের তৃতীয় শিকার হলে ৭ম উইকেটের পতন হয় উইন্ডিজের। এরপর কেমার রোচ (২) এবং ওয়ারিক্যানকে (১২) এলবিডাব্লিউ করে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান ১৭ বছরের এই তরুণ স্পিনার।

এর মাঝেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন শন ডারিচ। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে দ্রুত রান তোলার তাগিদে হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে (৬) সাকিব নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করলে ২৪৬ রানেই শেষ হয়ে যায় উইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডারিচ। বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ৭৮ রানের।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৪ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের ৮ম এবং টানা দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান মুমিনুল হক। ১৩৭ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর তিনি থামেন ১২০ রানে। এর সঙ্গেই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। আচমকা ১৩ রানের মধ্যে ফিরে যান শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এমতাবস্থায় ৯ম উইকেটে অর্ধশতাধিক রানের জুটি গড়ে দলকে তিনশ পার করান তাইজুল এবং অভিষিক্ত নাঈম হাসান। তাদের জুটিতে আসে মূল্যবান ৬৫ রান। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে ২৬ রান করে আউট হন নাঈম হাসান। তবে তাইজুল ইসলাম অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে। এছাড়া ইমরুল কায়েস ৪৪ এবং সাকিব ৩৪ রান করেন। মুশফিক, রিয়াদ এবং সৌম্য সরকারের রান ছিল যথাক্রমে ৪, ৩ এবং ০। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল নেন ৪ উইকেট।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে