ডেস্ক রিপোর্টঃ নদীকে আইনি ব্যক্তি, আইনি ও জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ২৮৩ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশিত হয়। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা নদীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানবজাতি টিকে থাকার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নদী। নাব্যসংকট ও বেদখলের হাত থেকে নদী রক্ষা করা না গেলে বাংলাদেশ তথা মানবজাতি সংকটে পড়তে বাধ্য। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সরকার আইন প্রণয়ন করে নদীকে বেদখলের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। নদী রক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে জাগরণ শুরু হয়েছে। রায়ে হাইকোর্ট তুরাগ নদকে লিগ্যাল পারসন (আইনগত ব্যক্তি) ঘোষণা করে বলেন, অবৈধ দখলদাররা প্রতিনিয়তই কম-বেশি নদী দখল করছে। অবৈধ স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদী। এসব বিষয় বিবেচনা করে তুরাগ নদকে লিগ্যাল/জুরিসটিক পারসন হিসেবে ঘোষণা করা হলো। রায়ে বলা হয়, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান সকল নদ-নদী একই মর্যাদা পাবে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট মামলায় এই রায় দেয়া হয়। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে মানুষের মতোই নদীর মৌলিক অধিকার স্বীকৃতি পেল। নদী যাতে জীবন্ত থাকতে পারে, দখল বা দূষণ না হয় সে জন্য একটা মেসেজ দিয়েছে আদালত। রায়ে আদালত নদী রক্ষায় বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে