জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে বন্ধ হয়ে পড়া সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানা রক্ষায় উদাত্ত আহবান জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় ৯ টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কারখানাটি পরিদর্শনকালে এই আবেদন জানান। কৌশলে গোপনে কারখানার মালামাল বিক্রি করার মাধ্যমে একেবারে বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

পরিদর্শন দলে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সৈয়দপুর কারখানা শাখার সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও কারখানা শাখার সম্পাদক আব্দুল মজিদ, শ্রমিক পার্টির সম্পাদক গোলাম বারী, শ্রমিক ইউনিয়নের কারখানা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদক শেখ রোবায়েত ও সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুল হক সরকার, শ্রমিক জোট সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোমিন ও সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, বিআরইএল’র সম্পাদক খায়রুল বাশার, বারওয়েল সম্পাদক যোতিন্দ্র নাথ, কারিগর পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হবিবর রহমান হাবিব, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র বৈরাগী, শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাচ্চু,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলম আখন্দ ও ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জুর রহমান।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সৈয়দপুর কারখানা শাখার সম্পাদক এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ১৮৭০ সালে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠাকালেই স্থাপিত হয় এই রেলওয়ে সেতু কারখানা। এখানে রেলপথের ব্রীজগুলোর সকল সরঞ্জাম তৈরী করাসহ স্টেসনের সিন্দুক এমনকি কামানও বানানো হতো।

অথচ আজ সেতু কারখানাটি নিরব নিস্তব্ধ। বিশাল এলাকাজুড়ে জঙ্গলে ভরপুর। শপের মেশিনঘরগুলোও আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। উপরের টিনের চালা জরাজীর্ণ। পেছনের সীমানা প্রাচীর ভেঙে অরক্ষিত। হাজার হাজার কোটি টাকার মেশিন, যন্ত্রপাতি ও মালামাল অযত্ন অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। মাত্র একজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আর একজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কারখানাটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

তাই আমরা এটিকে বাঁচাতে সক্রিয় হয়েছি। আগামী সোমবার এখানে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে। সকল ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরাসহ সাধারণ শ্রমিক ও সচেতন সৈয়দপুরবাসী এতে অংশগ্রহণ করবে। এই কর্মসূচী থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেতু কারখানা পূনরায় চালু করার দাবী জানাবো। এতেও কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন দাঁড় করা হবে কারখানাটি রক্ষায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে