ডেস্ক রিপোর্ট :  সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ধর্মের নামে হত্যা ও জঙ্গিবাদ ঠেকাতে সংস্কৃতিকেই একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে আমাদের ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে তাই শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে জাদুঘর বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর।
জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় জাদুঘরের সাবেক ও প্রথম মহাপরিচালক ড. এনামুল হক এবং ইন্টারন্যশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামের (আইকম) প্রতিনিধি নেপালের অধিবাসী ড. প্রেম সিং বাসনিয়া। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে দেশের বিভিন্ন নাগরিকের কাছ থেকে শতাধিক নিদর্শন গ্রহণ করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হযরত উসমান (রা) সময়ের হাতে লেখা কুরআন শরীফ ‘মাসহাফে উসমানী’র ছায়ালিপি। কুরআন শরীফটির দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ১ ফুট, উচ্চতা ৩ ইঞ্চি, ওজন সাড়ে ৭ কেজি ও পৃষ্ঠা ৩৭২টি।
জাতীয় জাদুঘরের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় দিবসটির এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের প্রথম মহাপরিচালক ড. এনামুল হককে এবং প্রায় ১০ হাজার নিদর্শন সংগ্রহে অবদান রাখায় জাদুঘর কর্মী ওলি মিয়াকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। মন্ত্রী দু’জনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার প্রতিনিয়ত জাদুঘরের সম্প্রসারণ করে চলেছে। দেশের জেলা উপজেলায় নতুন নতুন জাদুঘর স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক পর্যায়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকার বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
নূর বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করছে। এ যাত্রায় শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেই হবে না, সেখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ছোঁয়াও থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার জাদুঘরগুলোকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, তাই সরকার জাতীয় জাদুঘরকে শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে ভার্চুয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন বিশ্বের যে কেউ, যে কোন প্রান্ত থেকে জাতীয় জাদুঘরের যে কোন গ্যালারি ঘুরে দেখতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মিউজিয়ামস এ্যান্ড কনটেস্টেড হিস্ট্রিজ: সেয়িং দ্য আনস্পিকেবল ইন মিউজিয়ামস’ অর্থাৎ ‘জাদুঘর কথা বলে’ বেশ সময়োপযোগী হয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে