প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও এই যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনেও ভাড়া ব্যাপক বেড়েছে। এর ফলে আমাদের দেশেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা কিন্তু চুপচাপ বসে নেই। আমরা সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে স্বস্তি নিয়ে আসতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

টিসিবির পণ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি পবিত্র রমজান মাসে আমরা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে প্রায় এক কোটি পরিবারকে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী দামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি।

‘রাজধানী ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫টি ফ্রিজার ভ্যানে করে সাশ্রয়ী দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এরই মধ্যে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।’

এছাড়া সরকার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এক কোটি ৩৩ হাজার ৫৪টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৩৩০ মেট্রিক টনের বেশি চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণে গণমাধ্যমের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যমে এমনভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যেন দেশে দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। আমি দৃঢ়ভাবে আপনাদের জানাতে চাই যে, দেশে চালসহ কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই।

‘সাশ্রয়ী দামে পণ্য কেনার জন্য টিসিবির দোকানে মানুষ ভিড় করবে- এটাই স্বাভাবিক। এটাকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার কী কারণ থাকতে পারে?’

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে