কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: কিশোরগঞ্জ সৈয়দপুর উন্নয়নের স্বার্থে পূণরায় এমপি হিসেবে দেখতে চায় আহসান আদেলের রহমান আদেলকে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে নীলফামারী-৪ আসন সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আমেজ ততই বাড়ছে। আসনটিতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মুলত জাতীয় পার্টিসহ দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে রয়েছে। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের পর চিত্র পাল্টে ভিন্ন রুপ নিয়েছে। আসনটিতে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুলকে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নৌকা প্রতীক প্রত্যাহার করার ফলে জাতীয়পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও কোষাধ্যক্ষ,নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ¦ আহসান আদেলুর রহমান আদেল জাতীয় পাটি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। পাশা পাশি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন ট্রাক প্রতীক নিয়ে এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক কাচি প্রতীক নিয়ে তিনিও সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। তবে নৌকা-লাঙ্গল জোটগত ভাবে নির্বাচন করার ফলে সতন্ত্র প্রার্থী তেমন কোন প্রভাব এই আসনটিতে প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে ভোটারদের ধারণা।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তিনশত আসনে মনোনয়ন পত্র সহ প্রতীক বরাদ্দ দিলেও তিনশত আসনের মধ্যে ২৭টি আসনে নৌকা প্রতীক তুলে নিয়ে জোট ঘোষণা করেছেন। এরেই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী-৪ আসনে জোট হওয়ায়ার ফলে নৌকা প্রতীক তুলে নেওয়ায় ভোটের হিসাব-নিকাশ আলাদা হয়ে গেছে। জোট মানে নৌকা-লাঙ্গল একই পথে হাঁটা,সেই দিক থেকে জাতীয়পাটি বিজয়ী হওয়ার বিষয়টা অনেকটা সহজ হয়ে পড়েছে। এছাড়া নীলফামারী-৪ আসন জাতীয়পার্টির ঘাটি বলেখ্যাত পাশা পাশি তাদেরও নিজস্ব একটা বড় ধরনের ভোট ব্যাংক রয়েছে। সে কারনে বিকল্প কোন চিন্তা না করে জোট প্রার্থী হিসেবে আলহাজ¦ আহসান আদেলুর রহমান আদেলের লাঙ্গল প্রতীকেই জনগন বেচে নিবেন বলে রাস্তাঘাট, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসএ আলোচনার ঝড় বইছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোকছেদুল হাসান মন্ডলকে এক প্রশ্নে করা হলে আপনাদের দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জোটভূক্ত প্রার্থী থাকার কারনে নীলফামারী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যহার করা হয়েছে এখন আপনারা কোন দলের হয়ে কাজ করবেন? উত্তরে তিনি বলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরী করতে জনগণকে নির্বাচন মুখি করার পাশা পাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক জোটভুক্ত প্রার্থীর পক্ষে আমরা কাজ করবো বলে জানান।

জানাগেছে সৈয়দপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে মোট ভোটের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৪ হাজার আর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন মিলে মোট ভোট রয়েছে ২ লক্ষ ১২ হাজার। সৈয়দপুরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ভোটারের মধ্যে দুইজন সতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। আর কিশোরগঞ্জে ২ লক্ষ ১২ হাজার ভোটের মধ্যে ১জন জোটভূক্ত দলীয় প্রার্থী রয়েছেন। ফলে সবমিলে নীলফামারী-৪ আসনে বর্তমান জাতীয়পার্টি ভাল একটা অবস্থানে রয়েছে। যে যাই বলুক না কেন আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর দুই উপজেলায় মানুষ এক কাতারে সামিল হবেন বলে সচেতন মহলের ধারণা।

আহসান আদেলুর রহমান আদেল বিগত ৫ বছরে সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যোগাযোগ খাতে ব্রীজ ও কালভার্ট, পাকা রাস্তা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে হিরিংবন্ড, এইচ বিবি রাস্তা,সেতু,কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে। শিক্ষাখাত, স্বাস্থ্যখাত,সামাজিকখাতসহ অন্যান্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। তাঁর ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মিনি ষ্টেডিয়ামকে শেখ রাশেল মিনি ষ্টেডিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

তিনি দাবানলকে জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়পার্টির দলীয় চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছি এবং জোটভূক্ত প্রার্থী হয়েছি। পূনরায় নির্বাচিত হয়ে অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে