বিডি নীয়ালা নিউজ(৩রা জুন ১৬)-আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সাত বছরের ইয়ামাতো তানুকাকে উত্তর হোক্কাইডোর প্রত্যন্ত জঙ্গল এলাকায় এক সেনা ছাউনিতে খুঁজে পাওয়া গেছে। তার বাবা মা তাকে যেখানে ছেড়ে এসেছিল, ওই সেনা ছাউনিটি সেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
তার বাবামা প্রথমে বলেছিলেন সব্জি তুলতে গিয়ে তাদের ছেলে হারিয়ে গেছে, পরে শেষ পর্যন্ত তারা স্বীকার করেন যে বেড়াতে গিয়ে তাদের ছেলে পাথর ছুঁড়ছিল। তাই দুষ্টুমি করার জন্য শাস্তি দিতে তারা ছেলেকে জঙ্গলে ছেড়ে এসেছিলেন।
ইয়ামাতো তানুকার বাবা ছেলের কাছে এবং উদ্ধারকারীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম।”
উদ্ধার করার পর শিশুটিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই হাসপাতালের বাইরে এক সংবাদ ব্রিফিং-এ শিশুটির বাবা তাকাউকি তানুকা আবেগপূর্ণ এক বক্তব্যে বলেন, “আমার কড়া শাসনের জন্য আমার ছেলে খুবই কষ্ট পেয়েছে। আমি খুবই দুঃখিত।”
“ছেলেকে আমি আমার ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে বড় করছি। কিন্তু এখন থেকে তাকে আমি আরও ভালবাসব। তাকে আরও সময় দেব- তাকে রক্ষা করার জন্য যা করার তা করব।”
কতটা ভয়ঙ্কর ছিল ওই দুর্গম জঙ্গল?
প্রত্যন্ত ওই এলাকায় ওক আর বার্চ গাছের নিবিড় জঙ্গল।
“সেখানে বাঁশঝাড় জাতীয় গাছেরও ঘন জঙ্গল- সে জঙ্গল এতই ঘন যে সেখান দিয়ে হাঁটা চলা করা দুঃসাধ্য। অন্য দেশের জঙ্গলের থেকে এই বন একেবারে আলাদা, ” বিবিসিকে বলেন ওই এলাকায় একটি অ্যাডভেঞ্চার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা রস ফিন্ডলে।
“ওই দুর্ভেদ্য জঙ্গলে বহু মানুষ পথ হারিয়ে ফেলে। পথের নিশানা না জানলে সেখান থেকে বেরনো কঠিন। আর ছোট শিশুর জন্য ওই ঘন বনে পথ খুঁজে বেরনো একেবারেই দুরূহ।”
এছাড়াও ওই বনে রয়েছে প্রচুর ভালুক।
BBC