দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পর বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো ইংলিশ শিবিরের হাল ধরেন। তাদের ১২৭ রানের অসাধারণ জুটিতে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট ২৭৩ রানের লিড দাড় করিয়েছে সফরকারীরা।
চট্টগ্রাম টেস্টে ৪৫ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ৫ উইকেট হারানো পর ক্রিজে যেন আঠার মতো লেগে থাকেন ইংলিশ দুই ব্যাটসম্যান। তবে শেষবিকেলে তাদের ১২৭ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি ভেঙ্গে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি।
এর কিছুক্ষণ পরেই সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে যাওয়া বেন স্টোকসকে সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। এরপর সাকিবের পঞ্চম শিকার হিসেবে প্যাভলিয়নের পথ ধরেন আদিল রশীদ।
প্রথম ইনিংসে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ অফ স্পিন অলরাউন্ডার। তার পঞ্চম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালিস্টার কুক (১২)।
পরের ওভারেই সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ জো রুট (১)। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিজের পরের ওভারে এসে বেন ডাকেটকেও ফেরান সাকিব। মুমিনুলকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ডাকেট করেন ১৫ রান। লাঞ্চের আগে ২৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
লাঞ্চের পর দ্রুতই আউট হয়ে ইংল্যান্ডের চাপ আরো বাড়িয়ে দেন গ্যারি ব্যালান্স। তাইজুল ইসলামের প্রথম বলেই ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দেন ব্যাল্যান্স (৯)।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভুগিয়েছিলেন মঈন আলী। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেননি। ১৪ রান করে সাকিবের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মঈন। তখন ৬২ রানেই ৫ উইকেট নেই সফরকারীদের।
এরপরই জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন বেন স্টোকস। দলের লিড বাড়িয়ে নেওয়ার পথে স্টোকস তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। দলের লিড পেরিয়ে যায় ২০০। হাফসেঞ্চুরির পর আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠেন স্টোকস। অপরপ্রান্তে দাড়িয়ে তাকে ভালোই ভরসা দিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো।
তবে শেষপর্যন্ত এই দুই তারকার বিপদজনক জুটি ভাঙ্গেন অভিষিক্ত পেস বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ব্যক্তিগত ৪৭ রান করা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে তিনি ভাঙ্গেন ১২৭ রানের জুটি। বেয়ারস্টোকে হারিয়ে কিছুটা ছন্দহীন হয়ে পড়েন স্টোকস। অবশেষে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে সাকিবের শিকার হন তিনি। সাকিবের করা ৬৫ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরান ইংল্যান্ডের আজকের দিনের সর্বোচ্চ স্কোরার। ১৫১ বল মোকাবেলা করে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান স্টোকস।
এরপর নিজের পঞ্চম শিকার হিসেবে আদিল রশীদকে (১১) ফেরান সাকিব। শেষপর্যন্ত ৭৬ ওভারে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংলিশরা। ১০ রান নিয়ে ওকস ও ১১ রানে ব্রড অপরাজিত রয়েছেন।
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন। তাছাড়া একটি করে উইকেট নেন তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
এর আগে মাত্র ২৭ রানেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৪৮ রানে। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করে ২৯৩ রান।
বি/বি/এন