montri-porishod

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৩ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তিমূলক ও উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের যথাযথভাবে শিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারে সচেতন, তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের অনেকেই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন না। এজন্য তাদের পড়াশোনার জন্য সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ট্রাস্ট ফান্ডের উপদেষ্টা পরিষদের তৃতীয় বৈঠকে একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী এএইচএম মুস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, কাউন্সিলের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, আরো শিক্ষার্থীদের এই তহবিলের সুবিধা দিতে তহবিলের আকার আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার প্রাথমিক হাতিয়ার হিসেবে তাঁর সরকার শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার প্রত্যেক নাগরিকের শিক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন সত্ত্বেও শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সাক্ষরতার হার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে বিশেষ করে নারীদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে বৃত্তি চালু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরে শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতের বেশির ভাগ উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য সকলকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

#বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্লগ থেকে পাওয়া খবর।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে