ডেস্ক রিপোর্ট :সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, থিয়েটারই পারে তরুণ সমাজকে মোটিভেট করে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ বা এশিয়ায় নয়, বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কারণেই বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে দু’দিনব্যাপী ‘এশিয়ান থিয়েটার সামিট ২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার এসোসিয়েশনের (আইয়াটা) উদ্যোগে যৌথভাবে এ সামিটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন। সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও সিঙ্গাপুরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. চাউ সু কং।সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও আইয়াটা, এশীয় অঞ্চলের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী।গতবছর বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে বেশ কয়েকজন বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির অনেক শক্তি আছে। এ শক্তিকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে আমাদের সকলকে ব্যবহার করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশকে এশিয়ার টাইগার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশ যে আসলেই টাইগার তা প্রমাণ করবে।
মন্ত্রীত্ব তার চাকরি উল্লেখ করে নূর বলেন, ৪০ বছর তিনি মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন, এখনও সে সময়টি তিনি বেশ অনুভব করেন।এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে, তা বিশ্বের অন্য কোন মহাদেশের রাষ্ট্রগুলোতে আছে কিনা তার জানা নেই উল্লেখ করে রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি এদেশের মানুষের জাতীয় শক্তির উৎস।সামিটে অংশগ্রহণ করতে ১৫টি দেশের ২০জন থিয়েটার বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে এসেছেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো-ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, নেপাল, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র।দু’দিনব্যাপি এ সামিটের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরেই জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয় সেমিনার। এতে বাংলাদেশ, এশিয়ান থিয়েটারের ওপর; সিঙ্গাপুর, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার ট্রেডিশনাল থিয়েটারের ওপর এবং ইরান, নিজস্ব চলচ্চিত্র ও থিয়েটারের ওপর পৃথক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে। পরে এর ওপর উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
আগামীকাল সামিটের সমাপনী দিনে সকল দেশের প্রতিনিধিরা তাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির উপর আলোচনা করবেন এবং পাশাপাশি কয়েকটি প্রবন্ধও উপস্থাপিত হবে।সেমিনারের পাশাপাশি এ দু’দিন একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার ৩ নং মহড়া কক্ষ, সেমিনার রুম, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে পরিবেশিত হবে বাংলাদশের বাউল সংগীত, চর্যানৃত্য, গৌড়ীয়নৃত্য, শিশুনৃত্য, নাটক, বিদেশী নাটক এবং ঐতিহ্যবাহী নাট্যের বিভিন্ন পরিবেশনা ও যাত্রাপালা। একইসাথে লাউস, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আগত অতিথিবৃন্দরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে