আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ তুরস্কে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়াতে সংবিধান সংশোধনে সরকারের একটি প্রস্তাব নিয়ে সংসদে বিতর্ক হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান খোলাখুলি বলছেন, তুরস্কের সরকার ব্যবস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের মত করতে চান তিনি। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছে।

তাদের কথা, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের গণতন্ত্র ধ্বংস করে একনায়ক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। সংসদে এই প্রস্তাব পাশ হলে, এপ্রিলে গণভোটে দেওয়া হতে পারে। তুরস্কের সংবিধানের যেসব পরিবর্তনের ব্যাপারে পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে এগুলো যদি অনুমোদিত হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বেশ কিছু নতুন এবং ব্যাপকভিত্তিক ক্ষমতা পাবেন।

মি. এরদোয়ানের দল, একে পার্টি এবং দক্ষিণপন্থী এম এইচ পি এর পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। এতে তুরস্কের পার্লামেন্টারি পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেশটিকে একটি প্রেসিডেন্ট-পদ্ধতির প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং প্রেসিডেন্টই হবে নির্বাহী প্রধান । প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মন্ত্রীসভা নিয়োগ করবেন, বাজেট অনুমোদন করবেন, বিচারকদের অধিকাংশও নিয়োগ করবেন এমনকি তিনি ডিক্রি জারি করে আইন করার ক্ষমতাও পাবেন।

তবে পার্লামেন্টে অনুমোদিত হলেও আইনে পরিণত হতে গেলে এর ওপর কয়েক মাস পর একটা গণভোট করাতে হবে।

মি এরদোয়ানের সরকার বলছে, তুরস্কে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অবসানের জন্য এটা হবে একটা পন্থা। যদিও বিরোধীদল বলছে, এর ফলে দেশে স্বৈরশাসনের পথই প্রশস্ত হবে – যাতে প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা, বিচার বিভাগ বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা – এসব থাকবে না।

কিন্তু মি এরদোয়ান মনে করেন, এর ফলে পার্লামেন্টারি কোয়ালিশনের অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে তিনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে পাবেন। মনে করা হচ্ছে একে পার্টি হয়তো ৫৫০ জন এমপির মধ্যে ৩৩০ জন এবং দক্ষিণপন্থীদের সমর্থন পাবে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এটি হচ্ছে এক কঠিন পরীক্ষা, কারণ তিনি এই সাংবিধানিক সংস্কারকে এক প্রধান ইস্যুতে পরিণত করেছেন এমন এক সময় যখন তার দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং নড়বড়ে অর্থনৈতিক অবস্থার মতো সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে