ডেস্ক স্পোর্টসঃ একেই বলে তীরে এসে তরী ডোবানো। ইনিংস হার এড়াতে প্রায় পাঁচশ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এই পাহাড়সম রান করতে দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা। যেটা করতে পারেনি মুমিনুল, মিঠুন, লিটন, মিরাজরা। তাই শেষ পর্যন্ত ইনিংস হার এড়ানো গেল না। চতুর্থ দিনের দুই সেশনেই ইনিংস ও ৫২ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল কিউইরা।

৪ উইকে্টে ১৭৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুজনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৯৪ বলে ১২ চার ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকার। এই তরুণ হার্ডহিটার ১৭১ বলে ১৪৯ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হলে ভাঙে ২৩৫ রানের দুর্দান্ত জুটি। কিন্তু সৌম্যর বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি লিটন দাস কিংবা মেহেদী মিরাজরা।

স্রেফ দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে বাজে শট খেলে ১ রানে বোল্টের শিকার হন লিটন। অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিত মেহেদী মিরাজও ১ রানে ফিরেন ওয়াগনারের বলে। এর মাঝেই ১৮৩ বলে ১৬ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দলের নবম ব্যাটসম্যন হিসেবে মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে ১৪৬ রান জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু এরপরেও ইনিংস হারতে হলো বাংলাদেশকে। কিউইরা ম্যাচ জিতে নিল এক ইনিংস এবং ৫২ রানের ব্যবধানে।

এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৪ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবার ৭০০ রানের দেখা পেল তারা। অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এছাড়া সেঞ্চুরি করেছেন দুই ওপেনার জিত রাভাল এবং টম ল্যাথাম। ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে ৪৮১ রান করতে হতো। তবে কাছাকাছি গিয়ে টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস থামল ৪২৯ রানে।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে