tista

বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই  জুলাই ২০১৬ইং) আসাদুজ্জামান সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে
প্রবাহিত হয়। আবার হটাৎ পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসলেও তিস্তা নদীর ভাঙ্গন
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিলিন হতে শুরু করেছে স্কুল,বসতভিটা ও আবাদী জমি।
কৃষকদের চোখের সামনেই একে একে তাদের আবাদী জমিগুলো নদীর পেটে চলে
যাচ্ছে।সোমবার থেকে হঠাৎ করে নতুন ভাবে তিস্তার ভাঙ্গন শুরু হয় ডিমলা উপজেলা
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ঝিঞ্জিরপাড়া চরে। এখানে অবস্থিতি  টেপাখড়িবাড়ি উচ্চ
বিদ্যালয়টির দুপুর পর্যন্ত দুইটি ক্লাশ রুম নদী গর্ভে বিলিন হয়। স্কুলের বাকী
অংশ বিলিনের পথে বলে জানায় প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন।

এদকে স্কুলটি তিস্তা নদীতে বিলিন হতে থাকলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী তা রক্ষার
জন্য বালির বস্তাসহ বাঁশের পাইলিং স্থাপন করে। কিন্তু এতেও স্কুলটি রক্ষা করা
অসম্ভব হয়ে পড়েছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল শাহিন জানান তিনি
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্কুলটি রক্ষা করার চেস্টা করছে।

তিনি আরো জানান, এলাকাবাসী ত্রান চায়না তারা গ্রাম রক্ষার জন্য চায় জরুরী
ভিত্তিতে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ। গত ক দিন আগে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন
করেছেন সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার,জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন,
ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, ইউএনও রেজাউল করিম ও উপজেলা
আওয়ামীলীগের একটি প্রতিনিধি দল।

তিস্তার কড়াল গ্রাসে প্রায় শতাধিক বিঘা জমি হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার আরো
৪০০ পরিবারের বসতভিটা তিস্তায় বিলিন হয়েছে। পরিবারগুলো কে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া
হয়। এর আগেও ওই এলাকার মধ্য চরখড়িবাড়ি সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সহ ৬১০ টি
পরিবারের বসতভিটা বিলিন হয়েছিল।

এছাড়া ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই,
ঝাড়শিংশ্বের, খগাখড়িবাড়ী ইউপির কিসামত চর, দোহলপাড়া,  দনি খড়িবাড়ী, উত্তর
খড়িবাড়ী, পুর্ব খড়িবাড়ী, খালিশা চাপানির ছোটখাতার সুপরীটারি, পূর্ব বাইশপুকুর,
ঝুনাগাছ চাপানির ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ীতে ব্যাপক আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

খালিশা চাঁপানির সুপারীটারি গ্রামের কৃষক লেহাজ উদ্দিন জানান, তিস্তার ভাঙ্গনে
তার তিন বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেতসহ পাঁচ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র সুত্র জানায় উজানের
ঢলে সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ৫ সেন্টিমিটার
নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে
টেপাখড়িবাড়ির পূর্বখড়িবাড়ি চরখড়িবাড়ি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ওই সব এলাকার ঘরবাড়ি
বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি সেখানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে