ডেস্ক স্পোর্টসঃ খবরটা বেশ কয়েক বারই চাউর হয়েছে। প্রতিবারই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্ডিওলা। লিওনেল মেসি তো কখনও মুখই খোলেননি। কিন্তু কতদিন আর গোপন রাখা যায়। অবশেষে ভেতরের সত্যটা ফাঁস করে দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির মালিক স্বয়ং। আরব শেখ বললেন, মেসিকে বার্সেলোনা থেকে নিয়ে আসার জন্য তিনবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা। তিন গুণ বেশি বেতনের লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন মেসি।

ঘটনাটা ২০১৬ সালের। বেতন-ভাতা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হচ্ছিলেন না মেসি। বার্সেলোনার কর্তারা বারবার প্রস্তাব দিয়েও মেসিকে নতুন চুক্তিতে সই করাতে পারছিলেন না। এর জের ধরেই গুঞ্জন ছড়ায় বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানসিটিতে পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন মেসি।

ওই বছরই ম্যানসিটির কোচের দায়িত্ব নেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ গুয়ার্ডিওলা। যার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি। তাই গুঞ্জন ওঠে, সাবেক কোচ গুয়ার্ডিওলার সঙ্গে ফের কাজ করার অভিপ্রায় থেকেই ম্যানসিটিতে যেতে চান মেসি। ওদিকে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়কে দলে টানার জন্য সিটির আগ্রহ তো ছিলই। এমনও গুঞ্জন ওঠে, পুরনো সম্পর্কের কারণে গুয়ার্ডিওলাকেই মেসিকে রাজি করানোর দায়িত্ব দিয়েছে সিটি।

গুঞ্জন বরাবরই অস্বীকার করেছেন গুয়ার্ডিওলা। মেসিও শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের শুরুর দিকে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী বার্সেলোনায় বর্তমানে তার বার্ষিক বেতন ৫০ মিলিয়ন ইউরো। যা তাকে বানিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার। এতদিন পর সেই গুঞ্জন সত্য প্রমাণ করলেন ম্যানসিটির মালিক। নিজ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেই এক সংবাদ সম্মেলেন শেখ খালদুন। আল মুবারক বলেছেন গুয়ার্ডিওলার মাধ্যমেই মেসিকে তিন গুণ বেশি বেতনে তিনবার প্রস্তাব দেয়ার কথা।

এমন একজন খেলোয়াড়ের নাম বলুন, যার সঙ্গে ম্যানসিটি চুক্তি করতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ম্যানসিটি তাকে দলে ভেড়াতে পারেনি। সাংবাদিকরা কৌশলে এভাবেই প্রশ্নটা করেন। উত্তরে খালদুন আল মুবারক স্পষ্ট করেই বলেন মেসির নাম। ম্যানসিটির এ আমিরাতি মালিককে কোট করে স্পেনের জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক মুন্ডো দেপোর্তিভো লিখেছে, ‘আমরা গুয়ার্ডিওলাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম মেসির সঙ্গে কথা বলার জন্য।’

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে