মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি : নায়িকার নাম তানহা মৌমাছি। কৌতুহলোদ্দীপক এই নামটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মৌমাছি কেন এ বিষয়টি কেউ কোনোদিন আমার কাছে জানতে চাননি। আসলে ছোটবেলায় আমি খুব দুষ্টু ও চঞ্চল ছিলাম। আমার চোখে-মুখে এখনও দুষ্টুমির কারণে পাওয়া আঘাতের দাগ আছে। এজন্য মুরব্বিরা আমাকে মৌমাছি বলে ডাকতো। সেই থেকে তানহার সঙ্গে মৌমাছি যোগ করে সবাই আমাকে তানহা মৌমাছি বলে ডাকতো। সেই নাম আর কখনো পরিবর্তন করা হয়নি।’ তানহা মৌমাছি অভিনীত ইতোমধ্যে পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেই ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কি দারুণ দেখতে, বউ বানাবো তোকে, যে গল্পে ভালোবাসা নেই, অনেক দামে কেনা এবং চিটাগাইঙ্গা মাইয়া নোয়াখাইল্যা পোয়া। এসব ছবিতে তার সপ্রতিভ অভিনয় বেশ প্রশংসিতও হয়েছে।

তানহার যে ফিগার এবং শারীকি আত্মপ্রকাশ তাকে কাজে লাগিয়ে নির্মাতারা যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ছবি বানাতে পারেন। চলচ্চিত্রের বর্তমান আকালের বাজারে তিনিও হয়ে ওঠতে পারেন একজন নির্ভরশীল তারকা। এখনকার নবাগত মুখর চলচ্চিত্রে তারা যাতায়াতের মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু তানহা মৌমাছির মধ্যে যে একটা আত্মবিশ্বাস এবং পেশার প্রতি আনুগত্য রয়েছে, তাতে বুঝাই যায় তিনি এখানে চলে যেতে আসেননি। তানহা মৌমাছি আত্মবিশ্বাস নিয়েই  বলেন, ‘শাবানা এবং শাবনূর আমার আইডল। আমি জানি কোনোদিনই তাদের মতো হতে পারব না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলে কেউ একজনতো হতে পারব।’ তিনি বর্তমানে কাজ করছেন দখল,  রেড রোজ, ফেরারী এবং ইয়েস ম্যাডাম ছবিতে। তানহা জানান, আরো তিনটি ছবি চূড়ান্ত হয়ে আছে। চুক্তিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জানান দিতে চান না। উল্লেখ করার বিষয় হলো জয়পুরহাট শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে সেই ছোটবেলাতেই যুক্ত হন তিনি। সেই সুবাদে অভিনয় তথা গ্ল্যামার জগতের প্রতি তার মধ্যে একটা দূর্বলতা তৈরি হয়ে যায়। সেই দূর্বলতা তাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় টেনে আনে। কিন্তু পারিবারিক কারণে তাকে তৃতীয় রাউন্ডের আগেই প্রতিযোগিতা থেকে সরে যেতে হয়। তারও তিন বছর পর তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন জহির নামের একজনের মাধ্যমে।

 তিনি জানান, বর্তমানে দুটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করছেন। এরমধ্যে একটি কাজ শেষ করেছেন, আরেকটির জন্য শিডিউল দিয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছে আরো ১৩টি মিউজিক ভিডিওর অফার। এছাড়াও তার হাতে রয়েছে চারটি টিভিসি। একইসঙ্গে তিনি মালয়েশিয়ার একটি গাড়ি ও ড্রেস কোম্পানির ব্রান্ড অ্যাম্বেসেডর। তানহা মৌমাছি বলেন, ‘আমার মধ্যে কোনো অহমিকা নেই। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমি নির্মাতাদের সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো দর কষাকষি করি না। শিডিউল ফাঁসানোর অভ্যাস নেই। লোকেশনে সবার আধ ঘন্টা আগে পৌঁছে যাই।’ এর মানে তানহা মৌমাছিকে নিয়ে কোনো নির্মাতার সমস্যায় পড়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়াও নির্মাতারা যদি সংশ্লিষ্ট অভিনয় শিল্পীর আগেই সব কিছু করে নেন এবং সেটা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করে তাহলেতো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তানহা মৌমাছি বলেন, ‘যতদিন চলচ্চিত্রের অবস্থা এখনকার মতো থাকবে, ততোদিন আমি শুধু অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করে যাব। পরিস্থিতি অনুকূল এলেই একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে আমার।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে