কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: ইচ্ছে ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাবা মায়ের স্বপ্ন পুরন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনষ্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আই ই আর) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিমন কুমার রায়। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস বাবা মায়ের সেই স্বপ্ন পুরণ আর হলনা অবশেষে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হলো তাকে।

জানাগেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনষ্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আই ই আর) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিমন কুমার রায় (২০) বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগ্ননাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনে ছাদের নিচে সহপাঠিরা পড়ে থাকতে দেখে তাকে। পরে সহপার্ঠিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু তার আগে মারা যান লিমন কুমার রায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

লিমন কুমার রায়ের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার প্রভাষ রায় প্রতাব কুমার রায়ের ছেলে বলে জানাগেছে। তার অকাল মত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

লেমনের মা নিলা রানী পুত্রের শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে, কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার বাবার এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমি তদন্ত সাপেক্ষে এর নেয় বিচার চাই সরকারের কাছে। তিনি আরো বলেন ছেলে সাথে শেষ কথা হয় তিনদিন আগে মোবাইল ফোনে তার শরীরটা ভাল যাচ্ছি না গলা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মাকে জানান, মা তাকে শরবত খাওয়ার পরামর্শদেন। ছেলের স্বপ্ন ছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা করবেন বলে। এবং তার ছোট ভাই সমুনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীতের উপর পড়াশুনা করাবেন।

ছোট ভাই সুমন আবেগপ্লুত ভাষায় বলেন দাদার সাথে ঘটনার একদিন আগে কথা হয় আমার, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, আমার দাদা গ্রামের মানুষকে ভাল জ্ঞান দিতো,আমার বিশ্বাস দাদা এ ধরনের কাজ করতে পারে না। আমি দাদার মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রির কাছে নেয় বিচার চাই।

স্কুলের সহপাঠি স্বদেশ চন্দ্র রায় বলেন লিমনের সাথে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করছি এবং সে অনেক ভালো ছাত্র ছিল,সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয় বলেন জানান।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমারের সাথে কথা হলে বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে