আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হককে বিবস্ত্র করে লাঞ্চিত ও অপমানিত করার ঘটনায় ১০ আগস্ট মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা বিক্ষোভ মিছিলসহ স্মারক লিপি প্রদান করেছে । উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। জানা যায়, ডিমলা বাবুরহাট উত্তরপাড়া বাইতুল মা’মুদ জামে মসজিদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যের অসামাজিক অনৈতিক কার্য্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে ০৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেন। মসজিদের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও নির্বাহী সদস্যদের বাদ দিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করে সাবেক কমিটির কথা উপেক্ষা করে নতুন ভাবে মসজিদ ঘর নির্মানের জন্য ভাঙ্গা রাস্তায় বেড়িগেট দিয়ে চাঁদা আদায় করে। এমনকি ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬ মাস ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে নতুন কমিটির সদস্যরা। অভিযোগ, কালেশনের আংশিক অর্থ মসজিদের কাজে লাগিয়ে বেশি ভাগ অর্থ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও একজন সদস্য আত্মসাৎ করে আসছেন। ফলে মসজিদের উপদেষ্টা কমিটির সহকারী উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক (সাবেক কমান্ডার), উক্ত নতুন কমিটির কাছে জু্ম্মার নামাজ শেষে ইমাম’র অনুমতি সাপেক্ষে গত ০৬ আগষ্ট/২১ শুক্রবার আয়-ব্যযের হিসাব চাইলে মসজিদ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কয়েকজন সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধাকে বিবস্ত্র করে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে। ঘটনার সময় ডিমলা থানা পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে। বীরমুক্তিযোদ্ধা এই লাঞ্চিতের ঘটনায় ঐ দিন ডিমলা থানা, অফিসার ইনচার্জ বরাবরে বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন লাঞ্চনার শিকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক । প্রেক্ষিতে গত ০৮ আগষ্ট/২১ তারিখে ডিমলা থানার এস আই কালাম ঘটনার তদন্তে সরেজমিনে তদন্ত করেন। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা থাকলেও অভিযোগটি অদ্যবধি থানায় রেকর্ড ভুক্ত করা হয়নি। এরই প্রতিবাদে ডিমলা উপজেলার সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ সবুর খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জগৎ চন্দ্র ব্যানার্জীসহ বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান নুর আলম সিদ্দিকী বাবলু, সফিয়ার রহমান, রশিদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মহব্বত হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, গোলাম রাব্বানী, মাসুদ রানা , সাহিদা বেগম, পারভিন, ও আসাদুজ্জামান বাবুসহ প্রায় শতাধিক বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা উপস্থিত থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি প্রদান করেন। স্মারক লিপি প্রদান শেষে তাদের মিছিল নিয়ে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা), সাংসদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার এর বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করেন। পরে মিছিল নিয়ে ডিমলা থানায় যাওয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন ওসি তদন্ত বিশ্বদেব রায় । এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান । তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে বলেও বীরমুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে