ডিমলা-নীলফামারী প্রতিণিধি : নীলফামারীর ডিমলায় ইউপি সদস্য ও তার সহচর কর্তৃক জাহানারা বেগম (৪২) নামের এক তিন সন্তানের জননী বিধবা ধর্ষনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালীরা চেস্টা করলেও পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল সেন্টারে মোবাইল করে অভিযোগ করলে শনিবার (১৯-অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের পূর্বছাতুনামা চর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই বিধবার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষক উক্ত ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৪৮) ও নিহত বিধবার ফুফাতো দেবর এবং ধর্ষক ইউপি সদস্যের সহচর মান্নান (৩৭)।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উক্ত গ্রামের আব্দুল জলিল দেড় বছর আগে রোগজনিত কারনে মারা যায়।সে মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানের জননী তার বিধবা স্ত্রী জাহানারা বেগম ওই চর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।গত বুধবার(১৬-অক্টোবর) রাতে উক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম সহ বিধবার ফুফাতো ভাই মান্নান মিলে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবার নামে ওই বিধবার বাড়িতে যায়।এ পর্যায়ে দুজনে ওই বিধবাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করতে থাকলে ওই বিধবার আত্মচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ইউপি সদস্য ও মান্নানকে হাতে নাতে আটক করেন।এরপর ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মান্নানের পক্ষ নিয়ে কিছু প্রভাবশালী তাদের দুজনকে নিয়ে ছটকে পড়েন।ঘটনার পর ওই বিধবা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে তাতেও বাঁধা দেয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। আবার অনেকেই বলছেন, নিহত বিধবা আত্মহত্যার দিনেও ধর্ষনের শিকার হয়েছেন সে কারনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতে হয় হয়তো ? পুর্বে ধর্ষিত হবার ঘটনায় নিরউপায় হয়ে আত্মহত্যা করতেও পারেন? এবং তাকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেও আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে তার লাশ হত্যাকারীরা ঝুলিয়ে রাখতেও পারেন? তাদের দাবি ঘটনা যাই হোক না কেনো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঠিক ঘটনা উৎঘটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনলে বেড়িয়ে আসবে আসল ঘটনা।
ঘটনার দিন শনিবার (১৯-অক্টোবর) দুপুরের দিকে প্রতিবেশি লোকজন ওই বিধবার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার ঘরে দেখতে পেলে মুহুর্তেই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির অদুরে স্বামীর বাড়িতে থাকা দুই বোন নাজমা ও নাসিমা ছুটে এসে পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল সেন্টারে মোবাইল করে বিস্তারিত জানালে ডিমলা থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান জানান, থানার ওসি ও তিনি সহ সঙ্গীয়ফোর্স লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। ডিমলা থানার একটি জিডিমূলে রোববার (২০-অক্টোবর) নীলফামারীতে লাশের ময়না তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতর পরিবার ঘটনার দিন রাতে লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিলেও (রোববার ৩.৪০ মিনিট) পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে