আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধি: ভারতের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে দেশের তিস্তা নদীতে। আকর্ষিক পানির তোড়ে তিস্তা প্রবেশদ্বার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্টে তিস্তার ডাঁনতীরে গ্রোয়েন ও পাউবো’র গাইড বাঁধের সংযোগ সড়ক যৌথবাঁধটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। বাঁধটির প্রায় ৩০০মিটার ভেঙ্গে তিস্তার পানি পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রামে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎ সীমার (৫২.৬০) ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে (৬০.১০) প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৮.৩০ মি. আরও ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে তড়িঘড়ি করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা বেষ্টিত এলাকাগুলিতে রেড এলার্ট (লাল সংকেত) জারি করে । মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই পানি ১২ ঘণ্টায় ১০৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৯টায় আরও ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়। সুত্র ধরে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা নদীর পানি ভয়ানক ভাবে বেড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি দো-মহনী পয়েন্টে বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার (৮৫.৯৬) ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে (৮৬.৬৩) প্রবাহিত হচ্ছে। সেই পানি সকাল ৭ টায় আরও ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেমে যেতে শুরু করে বর্তৃমানে ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে