আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে বিতর্কের মাঝেই দেশটির সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সাথে সুসম্পর্ক রাখাই হবে উত্তম এবং বোকা বা নির্বোধরাই একে খারাপ বলে মনে করছে।

তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন ডোমেক্র্যাট দলের নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাশিয়া মি ট্রাম্পকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের পর মি. ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছেন।

বিশেষ করে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতিরক্ষানীতির একটি বড় অংশ তৈরি হয়েছে রাশিয়াকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। সেখানে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট সন্দেহ এবং বিরোধিতার মুখেও বারবার রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালো করার পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন।

তার ক্ষমতাগ্রহণের পর মি ট্রাম্প যদি এই নীতি ধরে রাখেন, তবে সেটি যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষানীতিতে কি ধরণের সমস্যা তৈরি করবে?

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার এবং রাজনীতির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলছিলেন, “বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট হন তখনও তিনি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সম্পর্ক রিসেট করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না। একটা দিক হলো নেটোর সম্প্রসারণ।”

“বিভিন্ন আঞ্চলিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। তাতে রাশিয়ার অর্থনীতিতেও একটা বড় ধাক্কা পড়েছে।”

আর এই পটভূমির কারণে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়নি বলে উল্লেখ করেন মি: রিয়াজ। আর এটা যুক্তরাষ্ট্র একা করতে পারবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

মি: রিয়াজ বলছেন “সম্পর্ক উন্নয়ন করাটাও একটা দুরূহ কাজ হবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আনতে হবে। কেবলমাত্র রাশিয়ার ক্ষেত্রে নয় আরও অনেক জায়গায় করতে হবে।”

“সেটা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত কিনা, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের অনুকূল কিনা সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন আছে আর এ প্রশ্নের উত্তর এখনও ট্রাম্পের কাছ থেকে পাই নাই”-বলছিলেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

রিপাবলিকান দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

“আর হ্যাকিংয়ের প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সবসময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। এটা অনেকদিন ধরেই তাকে বিপর্যস্ত করবে।”-বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার এবং রাজনীতির অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে