ডেস্ক রিপোর্ট : সীতাকুণ্ড থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিবি ফাতেমা ও তার ছেলে মো. ইউনূস; রফিকের ভাই মো. জাহিরের স্ত্রী রাবেয়া এবং তাদের দুই মেয়ে সাত বছর বয়সী সামিয়া ও দুই বছর বয়সী লামিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জানান, জঙ্গল সলিমপুরের ওই দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের খাস জমিতে বেশ কিছু বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। এসব বসতিকে স্থানীয়ভাবে আলাদা আলাদা ‘সমাজ’ নামে ভাগ করা হয়েছে। মূলত দরিদ্র ছিন্নমূল বিভিন্ন পারিবার সেখানে থাকে।
ওই এলাকার তিন নম্বর সমাজের লক্ষণ সাহা শাখায় ভোরে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও সেখানে পৌঁছাননি।
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে সীতাকুণ্ডে চলছিল ভারি বর্ষণ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ১১ জুন রাঙামাটির রেকর্ডের চেয়েও বেশি।
ওই দিন রাঙামাটিতে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়; রাঙামাটিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আবহাওয়া অফিস শুক্রবারও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের শঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতও বহাল রাখা হয়েছে।
চি/ট/গ/ন