ডেস্ক রিপোর্টঃ আজকের ধুলো ময়লা ভরা রোজকার অনিয়মিত জীবনে খুব পরিচিত রোগ হলো ফুসফুসের সংক্রমণ। অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেন না যে তার ফুসফুসে সংক্রমণ আছে। ছোটখাটো ডাক্তার দেখিয়ে বা হাতের মুঠোয় থাকা বাজারি ওষুধ খেয়ে শরীর খারাপ প্রশমিত করার চেষ্টা করেন। এই সংক্রমন আপনাকে পুরোপুরি নিত্য নৈমিত্তিক কাজ থেকে কাবু করে ফেলে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে ব্রঙ্কাইটিস বা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিসিজ (সিওপিডি) হতে পারে। এই (সিওপিডি) একবার হলে টা কখনোই পুরোপুরি সারে না। দূষণ ভরা জায়গায় থাকলে বা অতিরিক্ত ধূমপান করলে এর সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়। দীর্ঘদিন বুকে লেগে থাকা ঠান্ডাও অনেক সময় অবহেলার কারণে সংক্রমণ হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে। কীভাবে জানবেন যে আপনার সাময়িক শরীর খারাপ আসলে ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে হচ্ছে? কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে এই সংক্রমণ ফেলে না রেখে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত? শুরুতেই যে সবার ঠান্ডা লাগা বা দূষণ থেকে এই সংক্রমণ হবে তার কোন সম্ভাবনা নাও থাকতে পারে। কিন্তু অবহেলার যেকোনো রোগ বড়ো আকার ধারণ করে। আজকের টপিকে আলোচনা করবো ফুসফুসের সংক্রমণ কীভাবে চিনবেন।

জ্বরঃ এই সংক্রমণ হলে সাধারণ শরীরের তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। গায়ের তাপমাত্রা স্থির না থেকে ওঠা নামা করবে। ঘাম দিয়ে কখনো জ্বর ছাড়তে পারে। এই লক্ষণ গুলো ব্যাকটেরিয়াল জ্বরের সময় হতে পরে। কিন্তু বেশিদিন একইভাবে থাকলে সেক্ষেত্রে এই জ্বর যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ। খাওয়াদাওয়াতে অনিচ্ছা চলে আসবে। মুখে রুচি থাকবে না।

শ্বাসকষ্টঃ রোগীদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট খুব চেনা পরিচিত বিষয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যার এই রোগ নেই কিন্তু বহুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, হতে পারে তারা ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। এই সংক্রমণে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। শরীরে অক্সিজেন কম যাওয়ার কারণে হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায়। অল্প কাজেই হাঁপিয়ে পড়তে থাকেন। যেকোনো চলা ফেরা বা ঘরের কাজেও দূর্বলতা অনুভব করতে থাকেন। অনেক সময় এর কোনও স্থায়ী সমাধান না থাকার জন্যে রোগীকে আজীবন ইনহেলারের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়।

শ্লেষ্মার পরিবর্তনঃ এই সংক্রমণে আপনার কাশির সাথে উঠে আসা শ্লেষ্মার কিছু পরিবর্তন আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। সাধারণ ঠান্ডা লাগে যেমন কফ বেরোয় তার থেকে অনেকটাই ঘন এবং চটচটে হতে পারে। এমন কি সংক্রমণের প্রকার এবং সময় ভেদে এর রঙের পরিবর্তন আসতে পারে। অনেক সময় শ্লেষ্মার সাথে রক্তের উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। অতিরিক্ত শ্লেষ্মার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এই সময়। অল্প একটু ঠাণ্ডা লাগলেই মনে হবে বুকে কফ বসে আছে।

বুকে ব্যথাঃ ফুসফুসের সংক্রমণে বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। বেশি ব্যথা বোঝা যাবে কাশির সময়। (সিওপিডি) রোগীরা সব থেকে বেশি এই সমস্যা অনুভব করেন। এছাড়াও এক্ষেত্রে মনে হবে বুকের ভিতরের দেওয়ালে চাপ লাগছে। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যথাকে প্লিউরিতিক ব্যথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।

পিবিএ/এমআর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে