নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাপানে জনশক্তি রফতানিতে দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছে এসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট ইন বাংলাদেশ (আজলিব)। সংগঠনের পক্ষ থেকে আই’এম জাপান কর্তৃক টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগে সরকারি পর্যায়ে দূর্নীতির নানা অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

বুধবার অর্থনীতি রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব অভিযোগ আনে আজলিব নেতারা। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আজলিবের সভাপতি ফরিদুল আলম বাবলু। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ ও অন্যান্য নেতৃবৃদন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আবলম্বনের পর্যায়ে এবং অবলম্বনের পর্যায়ে এবং বিদেশে শ্রমিক প্রেরনে নানা প্রতিকুলতার এই পার্যায়ে জাপানে ইন্টারন্যাশনাল ম্যান পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট ওর্গানাইজেশন এট জাপান (আইএম জাপান) কর্তৃক
টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র উপস্থাপন করছি।

তিনি বলেন, গত বছর ২০১৮ সালে আইএম জাপান কর্তৃক টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগ শুরু হয়, তখন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের চাহিদামত যোগ্যতা সম্পন্ন সকল নাগরিক পরিক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১৯ সালে নিয়োগে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি। গোপনে অর্থের বিনিময়ে শুধুমাত্র সরকারি টিটিসি থেকে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বাছাই করে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। আমরা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশীক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব মহদোয়কে অবহিত করি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তথা ২,৩,৪ এপ্রিলের পরীক্ষা গ্রহন স্থগিত করে, উন্মক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহনের সুপারিশ করি। তিনি আমাদের আশ্বাসও দেন পরবর্তী পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই বিএমইটির মহাপরিচালক টিটিসির প্রিন্সিপালদের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে ১ এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, গতবছর টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের নিয়োগ প্রাপ্ত এবং মেধাতালিকায় আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের স্থান ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। এর প্রেক্ষিতে আরও নতুন শিক্ষার্থীদের জাপানী ভাষায় শিক্ষা প্রদান করি, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার ৫শ’ হাজার জাপানী ভাষা দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই পরিস্থিতে আমরাও আমাদের শিক্ষার্থীরা হতবাক। যার ফলে দেশের হাজার হাজার জাপানি ভাষা জানা এবং যারা শিখছে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে