জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ভোগদখলীয় জমিতে গাছ লাগাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই জন গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৷ এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার ৷ সোমবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ৷

অভিযোগে জানা যায়, ৫ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮টায় তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিল গ্রামের হবিবর রহমানের ছোলেমান মিয়া ও ছোট ভাই সহিদুল ইসলাম তাদের ভোগদখলীয় গাছের রোপন করে ৷ এ সময় একই গ্রামের ছাবেদ আলী,আঃ হামিদ,ছাইফুল ইসলাম,সোহাগ মিয়া,স্বাধীন,লিটন,কহিনুর বেগম,নারগীস,আখি বেগম,আমিনুর,সবুজ মিয়া,কাজিনুর ইসলাম,সাইদুল ইসলামসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্রসহ কাজিনুর ইসলামের নেতৃত্বে জমিতে এসে গাছ রোপন করতে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং গালিগালাজ শুরু করেন ৷ এর প্রতিবাদ করা মাত্র উল্লেখিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ৷ এতে ঘটনাস্থলে শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৷ তাকে বাঁচাতে স্ত্রী খালেদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকে মার ডাং করে পরনের কাপড় খুলে শ্লীলতাহানি করে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করা হয় ৷ তাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ৷ যাওয়ার সময় তারা হুমকি দিয়ে যায় যে পরবর্তীতে এই জমিতে আসলে মেরে লাশ গুম করবে এবং জমি নেওয়া সাধ মিটিয়ে দিবে ৷ ওই জমিতে প্রতিপক্ষরা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ৷ অপরদিকে জমির প্রকৃত মালিকরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ৷ প্রতিপক্ষরা ভূক্তভোগী পরিবারের
বাড়িতে ঢিল ছুড়ে আতংক সৃষ্টি ৷ তারা প্রশাসনসহ সমাজের সচেতন মহলের কাছে সুবিচার দাবী করছেন ৷ কথা হয় প্রতিপক্ষের ছাবেদ আলীর সাথে তিনি জানান,ওই জমি ২০১১ সালে নিজবাড়ির গ্রামের অফিল উদ্দীনের কাছে ১৫০ টাকার নন- জুডিশিয়াল ষ্ট্যামপ বায়না করা ছিল ৷ কিন্তু তিনি দলিল করে না দেওয়ায় এ অবস্থায় পড়ে আছে ৷ ওই কাগজের ভেলু আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি ৷ তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে