মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ জনমুখী কল্যান ধর্মী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য বিএমজেএফ শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড- ২০২১ পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ৪ নং উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নিজাম ক্বারী।

শুক্রবার (২৭ আগষ্ট) রাত ৮টার দিকে ঢাকায় বাংলাদেশ ম্যাগাজিন জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) কর্তৃক মরণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা মহামারী প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে গনমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে ঝাঁক জমক এক অনুষ্ঠানে মো. নিজাম ক্বারীর হাতে বিএমজেএফ শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড- ২০২১ ও সম্মাননা পত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রদান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী।

এসময় বিএমজেএফ এর সভাপতি ও বিজনেস ডাইজেস্টের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শহিদুল্লাহ প্রিন্সের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাউথ ইস্ট ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্ট বোর্ডরের উপদেষ্টা ও সাবেক ডিসি অধ্যাপক ড.আ.ন.ম মেশকাত উদ্দিন। অনুষ্টান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএমজেএফ এর সদস্য সচিব সাহেদ আহাম্মদ।

এর আগে করোনা মহামারিতে জনসচেতনতা ও সমাজসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি “ইউনিয়ন পরিষদ স্বর্ণ পদক -২০২১” পেয়েছেন, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সনের ১৬ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু আদর্শ চর্চা পরিষদ কর্তৃক হাজী মুহাম্মদ মহসীন স্মৃতি পদক- ২০১৮ পেয়েছেন, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সনের ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাইকেল মধুসুদন দত্ত স্মৃতি সম্মালনা পদক- ২০১৮ পেয়েছেন, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সনের ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক স্বাধীনতা স্মৃতি সম্মালনা পদক- ২০১৯ পেয়েছেন এবং করোনা মহামারিতে জনসচেতনতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সনের ২৫ ডিসেম্বর শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গভেষণা পরিষদ ও অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন কর্তৃক শেরে বাংলা স্মৃতি পদক-২০২০ পেয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম ক্বারী ১৯৬৭ সনের ৪ অক্টোবর উছমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদিঘী (খৈলাজুরী) গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আ. মন্নাফ ছিলেন একজন সনামধন্য ব্যবসায়ী। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে নিজাম ক্বারী তৃতীয়। ছাত্র জীবনে তিনি লেখা পড়ার পাশাপাশি বাবার ব্যবসায় সহযোগীতা করতে করতে এক পর্যায়ে তিনি এলাকায় বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হন।

ছাত্র জীবনের এক পর্যায়ে ১৯৮৫ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন তিনি। ১৯৯১ সনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ- সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সনে কুলিয়ারচর উপজেলা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সনে কুলিয়ারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ সনে বিএনপি সরকার আমলে বিএনপি কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতবাস অবস্থায় পৌর আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলে প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) আলহাজ্ব মো: জিল্লুর রহমান ও বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) এডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ এরঁ উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। ২০১৪ সনের শেষের দিকে পূনরায় কুলিয়ারচর পৌর আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

এছাড়া ১৯৮৯-১৯৯০ সনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৯৬ সনের ১৫ই ফেব্রুয়ারী প্রহসনের নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবেন অংশ গ্রহন করেন। ২০০১ সনে বিএনপি সরকার দলীয় নেতা-কর্মী কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগে ২৬ টি মামলার আসামী হয়ে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন। ২০০২ সনে বিএনপি কর্তৃক চাঁদাবাজি ও বিএনপি অফিস ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে মামলার আসামী হয়ে কারাবাস করেছেন।

সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ হিসেবে ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সনে পর পর তিন বার কুলিয়ারচর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সনে কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সনে চাউল কল মালিক সমিতি, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সনে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯২ সনে চাউল কল মালিক সমিতি কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনি মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে আবরো আসন্ন ৪নং উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে ২০১৬ সনের ৭ মে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়ে সফলতার সহিত উন্নয়ন মূলক কাজ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।

উছমানপু ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম ক্বারী সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এ অর্জন আমার একার নয় উছমানপুর ইউনিয়নবাসীর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে