ডেস্ক রিপোর্টঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন জনগণকে সেবা দেওয়ার মাধ্যম হবে স্মার্টফোন। সরকারি সেবা নেওয়া বা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে স্মার্টফোন। বাংলাদেশে ৯ থেকে ১০ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার হয়, এর মাত্র ৩০ ভাগ স্মার্টফোন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অবশিষ্ট জায়গাও স্মার্টফোনের দখলে চলে আসবে। তখন ডিভাইসটির মাধ্যমেই পাওয়া যাবে সব ধরনের সেবা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে শুরু হওয়া স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন,মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু ডিভাইসের দিকে নজর দিলেই হবে না, কনটেন্টের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ সব ধরনের ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দরকার নিরাপদ ইন্টারনেট। নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে পারলেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে। সরকার নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সেলস ডিরেক্টর সালাহউদ্দীন সানজি, স্মার্ট টেকনোলজিসের পরিচালক (টেলিকম বিজনেস) সাকিব আরাফাত অপো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হেড আইয়োনো, ডিএক্স টেল লিমিটেডের হেড অব রিটেইল অপারেশন জেএম হাসান সাইফ, এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।

গতকাল সকাল থেকেই শুরু হয় মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এই মেলা শেষ হবে শনিবার। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মেলায় বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে। অংশ নিয়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অপো, শাওমি, ভিভো, মটোরোলা, আইফোন, নকিয়া, ম্যাক্সিমাস, রিয়েলমি, ইউমিডিজি, ডিটেল ছাড়াও সুরভী ইন্টারপ্রাইজ, মোবাইল আউটফিটারস ও বিজয়সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান।

মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও অপো। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ডিএক্স টেল ও ভিভো। মেলার সিলভার স্পন্সর মটোরোলা। সাইবার সিকিউরিট পার্টনার ক্যাসপারস্কি।

পিবিএ/এমএসএম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে