মারুফ সরকার ,বিশেষ প্রতিনিধি : মানবসমাজে একজন মানুষ যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার সঠিক ভাবে প্রয়োগ করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা অনায়াসেই দিতে পারেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী গোলাম সরওয়ার পিন্টু তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
গোলাম সরওয়ার পিন্টু মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মেঘনার তীরবর্তী জাজিরা কুঞ্জ নগর এক স্বনামধন্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম নুরুল হক প্রধান। তিনি একজন সৎ ও আদর্শবান গর্বিত পিতার সন্তান। পিতার প্রদর্শিত আদর্শ ও শিক্ষা-দীক্ষায় দীক্ষিত এবং অনুপ্রাণিত।

গোলাম সরওয়ার পিন্টু সাংবাদিকতার পাশাপাশি, একজন নির্ভীক সমাজসেবক। তিনি এই পর্যন্ত বহু সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্কুল, মাদরাসা এবং পথশিশুদের স্কুলে দান অনুদান দিয়ে আসছেন । এবং তিনি ব্যক্তিগত অর্থে এলাকায় একাধিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন। যুব সমাজের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছেন নিজেকে।

তিনি নির্বাচিত হলে দারিদ্র্যতা ও মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে বেকার যুব সমাজকে রক্ষা করতে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা প্রসারিত করার বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন তিনি।

কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কি কি কাজ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের আলো’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম সরওয়ার পিন্টু জানান, ৩৮ নং ওয়ার্ডের জনগণের জন্য কিছু করার মানসিকতা নিয়েই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদ প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসিতাকে অবজ্ঞা করে জনসেবার মহৎ এক ব্রত এবং লক্ষ্য নিয়ে, সমাজ ও নগরবাসীর কল্যাণার্থে নিজেকে উৎসর্গ করতে যাচ্ছি । কাউন্সিলর পদ প্রার্থী গোলাম সরওয়ার পিন্টু ভদ্র, শিক্ষিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির আচার-আচরণ, কথাবার্তা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮ নং ওয়ার্ডের মানুষের দৃষ্টি ও হৃদয়কে জয় করেছেন বলে ওয়ার্ডে জয়জয়কার হচ্ছে ।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা করে আসছেন এবং সাংবাদিকতায় ব্যস্ত থাকায় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ না নিয়ে দলকে সমর্থন করে আসছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন রাজনীতিতে শিক্ষিত মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে মূল্যায়ন করছেন সেই আদর্শকে বুকে ধারণ করে মুজিব আদর্শকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনীতিতে বাড্ডা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হয়ে বর্তমানে বাড্ডা থানা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
এই এলাকায় অপরাধ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী মহলের কাছে নত স্বীকার বা আপোস করেননি তিনি। কোন প্রকার ভয়ভীতি ও অনুরোধের প্রতি কর্ণপাত না করে নিজ জীবনকে বিপন্ন করে অত্যন্ত শান্ত মস্তিষ্কে সাহসিকতার সঙ্গে একজন সাংবাদিক ও সমাজ সেবক হিসেবে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে লড়াই সংগ্রাম করে আসছেন। তিনি  মনে করেন, সঠিক ও সুচিন্তিত গঠনমূলক সদিচ্ছা এবং উদ্যোগ থাকলে, জনগণের কল্যাণে যে কোন কঠিন ও দুরূহ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে দরকার স্থানীয় জনগণ ও  নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা।

কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি ফুটপাথ যেমনি উদ্ধার তেমনি ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট যায়গা করে দেওয়া , ফুটপাথের উন্নয়ন, স্ট্রিট বাতির ব্যাপক উন্নয়ন, রাস্তাঘাট পূর্নর্নিমাণ, সংস্কারকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজের বৈপ্লবিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া করার প্রতিশ্রুতি নিবেন বলে জানান।

কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন কি প্রশ্ন করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন – ইনশাআল্লাহ আমি জনগণের নিরষ্কুশ আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবো বলে আশা করি । এই এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি নতুন কিছু রাস্তা, পুরনো রাস্তা সংস্কার, ছিনতাই, ডাকাতি, চুড়ি, মাদক সহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বন্ধ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারাবাহিক ভাবে বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবো।

তাছাড়া শিক্ষার্থী, তরু ও যুবকদের মাদকের ভয়াল নেশা থেকে মুক্ত করতে তাদেরকে ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিকের দিকে ফিরিয়ে আনতে এবং চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং রুখতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা, ল্যাম্প লাইট ও সর্বসাধারণের জন্য ফ্রী ওয়াইফাই বাসানোর ব্যবস্থা করা হবে ।
ওয়ার্ডে বসবাসকারী সর্বসাধারণের জন্য ফ্রী অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে এবং স্থানীয় হসপিটাল ও ক্লিনিক গুলোর সাথে সমন্বয় করে গরীব অসহায় রুগীদের জন্য শতকরা অন্ততঃ ৩০% ছাড়ের চুক্তি করা হবে, জনস্বার্থে চব্বিশ ঘন্টা তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু সহ ওয়ার্ডের  গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযোগ ও সু পরামর্শের জন্য বক্স লাগিয়ে দেয়া হবে, পুরাতন কবরস্থান গুলো সংস্কার সহ সর্ব সাধারণের জন্য নতুন একটি কবরস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নামে মাত্র কাউন্সিলর থাকবে, ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লায় মাদক ও অপরাধ নির্মূল ও উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবী, সুধী ও ন্যায় নীতিবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে,

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়  আরো দক্ষ পরিচ্ছন্ন কর্মী, নিয়োগ দিতে হবে,

মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি মহল্লায় নিয়মিত বিকেলে মশার ওষুধ ছিঁটানো হবে । মশক নিধনের জন্য আমার একটি টিম গঠন করা হবে।

গ্রীন ওয়ার্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করলে কাউন্সিলর পদ প্রার্থী গোলাম সরওয়ার পিন্টু বলেন, আমার এলাকায় বৃক্ষ রোপনের তেমন কোনো যায়গা নেই, তবে প্রয়োজনে আমরা প্রতিটি ভবন মালিকদের বাসার ছাদে বৃক্ষ রোপনের পরামর্শ দিবো ।
ছাদে কিভাবে বাগান করতে হয়, কোথায় কি গাছ লাগাতে হবে সে বিষয়ে আমাদের একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম থাকবে । স্থানীয় নির্বাচন গুলো দলীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার না করে, অন্যান্য পেশার কর্মদক্ষদের সুযোগ দেয়া দরকার বলে আমি মনে করি। অবশেষে ওয়ার্ড বাসীর উদ্দেশ্যে একটি দাবি রাখতে চাই, ” আমি আপনাদের সেবক হতে চাই, যদি বিশ্বাস করেন । আমি আপনাদের ভরসা হতে চাই, যদি যোগ্য মনে করেন । মনে রাখতে হবে আপনার একটি সুচিন্তিত রায় ও সিদ্ধান্ত, হতে পারে একটি ওয়ার্ডের পরিবর্তন ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে