1

বিডি নীয়ালা নিউজ( এপ্রিল১৬)- যশোর প্রতিনিধিঃ- বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী বদিউজ্জামান বাদলকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

পরে বাদল গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর ছাত্ররা বাদলের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে লাগাতার ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের মুখে ১৩ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটিগঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ৯ এপ্রিল শনিবার রিজেন্ট বোর্ডে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে যাতে পাঁচশিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করেআন্দোলন করে যাচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল থেকে চলা এই আন্দোলন চলছে।

5

আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আসছে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব-বন্ধন করে, যাতে যবিপ্রবি শিক্ষাথীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাথীবৃন্দ, ছাত্র গণমঞ্চ, সংস্কৃতির নয়া সেতু প্রমুখ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজও মিছিল নিয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়োহয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস কয়েক বার প্রদিক্ষণ শেষে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখেন। কর্মচারীরা প্রথমে প্রশাসনি কভবনের সামনে সমাবেশ করলেও শিক্ষার্থীদের সমাবেশেরকার নেতারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।পরে প্রশাসনিকভবনেঅবস্থানরত ভিসি, অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিকাল৩-৩০মিঃপর্যন্তঅবরুদ্ধকরে রাখা হয়। প্রশাসনিক কাজ স্থবির হয়ে পরে।

3

এর আগে গভীর রাত্রে ছাত্র হলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায় বহিষ্কারের জন্য সুপারিশকৃত কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদল রাত ১২ টা ২০ মিনিটের দিকে তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে পিস্তল ও ককটেল হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বসে থাকা ছাত্রদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। তার উপস্থিতির খবর পেয়ে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা লাঠিসেটা নিয়ে বের হলে বাদল মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে গিয়েছে। এদিকে এমন ঘটনার পরে আবাসিক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্টকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নাম গন্ধও পাওয়া যায়নি। ফলে প্রশাসনে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমনিতেই ৬ মাসের সেশনজট বিরাজ করছে। এদিকে আন্দোলনের কারনে সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আরো সেশন জটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা ।

 

 

 

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে