ডেস্ক রিপোর্ট :  জনসন চার্লসের হাফ-সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৪৯ রানের সুবাদে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৯তম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান করেছে সিলেট থান্ডার। চার্লস ৪৫ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট থান্ডার। ব্যাট হাতে সিলেটকে ভালো শুরু করতে দেননি ঢাকা স্পিনার মেহেদি হাসান। মাশরাফির পরিবর্তে বল হাতে ইনিংস শুরু করেন তিনি। প্রথম বলে ফিরতি ক্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মেহেদি। আগের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ফ্লেচার। এবার শুন্য হাতে ফিরেন তিনি।
এরপর উইকেটে গিয়ে মারমুখী হন আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজয়ান চার্লস। ওপেনার আব্দুল মাজিদকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। জুটিতে মাত্র ৮ রান অবদান ছিলো মাজিদের। পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি শিকার করেন তাকে।
মাজিদ ফিরলেও হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন চার্লস। হাফ-সেঞ্চুরির পরও নিজের ইনিংস বড় করেছেন চার্লস। আগের ম্যাচে ৯০ রানে থামলে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন চার্লস। এবারও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু ৭৩ রানে চার্লসকে থামান পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খান। ৪৫ বল খেলে ৩টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন চার্লস।
দশম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৯৩ রানে ফিরেন চার্লস। এরপর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ২ রান করেন তিনি। ফলে ১২ দশমিক ৩ ওভারে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মোসাদ্দেক।
অধিনায়কের বিদায়ের পর ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন ও প্রথমবারের মত খেলতে নামা শেরফেন রাদারফোর্ড। ইনিংসের শেষ ৪৫ বলে ৬৫ রান যোগ করেন মিঠুন-রাদারফোর্ড। ফলে ৪ উইকেটে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেন মিঠুন। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করেন রাদারফোর্ড। ঢাকার আফ্রিদি ২৬ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট থান্ডার : ১৭৪/৪, ২০ ওভার (চার্লস ৭৩, মিঠুন ৪৯*, আফ্রিদি ২/২৬)।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে