বিডি নীয়ালা নিউজ (২৯ই জুলাই ২০১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি): বর্ষার পানি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলের হাট বাজার গুলোতে এখন সর্বত্র মানুষের আগমনে কাঠ ও প্লেন -শীটের ডিঙ্গি নৌকা কেনাবেচার হিড়িক পড়ে গেছে ।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,- চাঁচকৈড় বানিজ্যনগরির কাঠপট্টি এলাকার ‘ছ’ মিল ও ফার্নিচার মালিকরা অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরীর পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও কাঠ ও প্লেন -শীটের ডিঙ্গি নৌকা তৈরী করে বিক্রি করছেন। কাঠপট্টির ‘স’ মিল ও ফার্নিচার মালিক আলাউদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, আতিক খলিফা, উজ্জল শেখ, মহাতাব সরকার, রাজ্জাক ফকির, মইনুল হক ও মধু মিয়া সহ কমপক্ষে ৩০ জন প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন ধরনের ডিঙ্গি তৈরীর কাজ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করে থাকেন।ফার্নিচার কর্মচারী বারেক আলী জানান,- বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই তারা শিমুল, বাটুল, আম, জাম, কাঠাল, পাইকর, কোড়ই, এন্টিকোড়ই, কাঠ ছাড়াও পে¬নশীট দিয়ে বিভিন্ন মাপের ডিঙ্গি নৌকা তৈরী করেন। তিনি আরো জানান, কাঠের ডিঙ্গিগুলো দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা এবং প্লেন -শীটের ডিঙ্গিগুলো ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। ফার্নিচার দোকান মালিক জানান,- বর্ষা মৌসুম এলেই বৃহত্তর চলনবিলের বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা, সিংড়া, তাড়াশ, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, উল্লাপাড়া ও শাহাজাদপুর এলাকার ডিঙ্গি ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবি এবং ব্যক্তি মালিকানায় ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহারের জন্য অধিকাংশ ক্রেতা ছুটে আসেন চাঁচকৈড় হাটে। আমরা ওইসব ক্রেতা সাধারনকে অতি সুলভ মূল্যে ডিঙ্গি নৌকা সরবরাহ করে থাকি। তবে এখানকার তৈরী ডিঙ্গি নৌকাগুলোর চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রতিবারের তুলনায় এবার দাম ও কেনাবেচা অনেক বেশি।চাঁচকৈড় হাটে ডিঙ্গি নৌকা প্রস্তুতকারীরা জানান,- বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডিঙ্গি ক্রেতা কম হলেও প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবারে হাটে কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ টি নৌকা বিক্রি হচ্ছে। তবে ভরা মৌসুমে প্রতিহাটে কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ নৌকা বিক্রি হয়ে থাকে। তারা আরো জানান, প্রতিদিনের আসবাবপত্র তৈরীর পাশাপাশি নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ডিঙ্গি নৌকা তৈরী করে বাড়তি উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা।