ডেস্ক রিপোর্টঃ গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, এলএনজি যুক্ত হওয়ার পর ভর্তুকি বেড়ে গেছে। ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হলে গ্যাসের দাম ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু এই হারে গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না। সরকার কি পরিমাণ ভর্তুকি দেবে এবং কি হারে বাড়ানো হবে তা নিয়েই আলোচনা চলছে। আবার গ্যাসের দাম না বাড়াতে গণশুনানিতে অংশ নেয়া ভোক্তা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের যুক্তিগুলোও বারবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে দাম বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে সম্মতি পাওয়া গেছে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কমিশনের কাছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম গড়ে ১০২ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এরপর মার্চ মাসে গণশুনানি করে কমিশন। শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দামের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ীই আজ রবিবার বিকালে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে কমিশন।

বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের আবেদনের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে জানায়, সরকার জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করছে। এখন প্রতিদিন ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে যা বেড়ে দাঁড়াবে অন্তত ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটে। বাড়তি দরে এই গ্যাস কিনে কম দামে সরবরাহ করা হবে। এতে করে জ্বালানি খাতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে। যে কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো। তারা বলছে— আমদানি করা এলএনজির প্রতি হাজার ঘনফুটের মূল্য ১০ ডলার বা ৮২০ টাকা (প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসাবে), অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত প্রতিহাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১২ টাকা ১৯ পয়সা। দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ২ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ঘনফুট এবং আমদানি করা এলএনজি ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের হিসাবনিকাশ করে এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা কার্যকর করার কথা থাকলেও মার্চে দাম কার্যকর হয়। আর জুলাই মাসের দাম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়।

পিবিএ/এএইচ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে