ডেস্ক রিপোর্ট : মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজধানী ঢাকার নর্দমাগুলোতে গাপ্পি মাছের পোনা ছাড়ার এক উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। কিন্তু এ দিয়ে চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা ঠেকানো যাবে কিনা – এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

কারণ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে ঢাকার নর্দমাগুলোয়। তা সাধারণ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলবে, কিন্তু এডিস মশা তো নর্দমায় বাড়ে না – বরং তা বাড়ে লোকজনের বাড়ির ফুলের টবে, ভাঙা পাত্রে, বা এয়ারকন্ডিশন মেশিনের ফাঁকফোকরে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ।

কিন্তু সাঈদ খোকনের কথায়, চিকুনগুনিয়ার জীবাণু বহনকারী এডিস মশা ঠেকাতেও এই গাপ্পি মাছ কার্যকর হবে বলে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন।

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার এক অনুষ্ঠানে ‘গাপ্পি মাছ অবমুক্তকরণ’ করেন মেয়র সাঈদ খোকন। বলা হচ্ছে, গাপ্পি মাছ নর্দমায় ছাড়া হলে তা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলবে, এবং তাদের মশার বংশবৃদ্ধি কমে যাবে।

বাংলাদেশ

কিন্তু চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে এই গাপ্পি মাছ ছাড়ায় কতটা কাজ হবে? কারণ যে এডিস মশার মাধ্যমে এই দুটি রোগ ছড়ায় – তা তো নর্দমার পানিতে বাড়ে না।

এ প্রশ্ন করা হলে সাঈদ খোকন বলেন, শুধু এডিস মশা ঠেকানোর জন্যই এ প্রকল্প তা নয়।এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশবৃদ্ধি করে, তবে অল্প কিছুসংখ্যক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা বলেন, নোংরা পানি এবং প্রবহমান পানিতেও বিস্তার লাভ করতে পারতে পারে।

বাংলাদেশ

তার মানে কি এই যে এই গাপ্পি মাছ ছাড়ার উদ্যোগ চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গু মোকাবিলায় তেমন কোন ভুমিকা রাখবে না?

বিবিসি বাংলার শাকিল আনোয়ারের এ প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, এ উদ্যোগ মূলক সার্বিকভাবে মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও এই গাপ্পি মাছ ছাড়াটা সহায়ক হতে পারে।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় চিকুনগুনিয়া কমে এসেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। নতুন রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে।

সাঈদ খোকন বলছেন, আগামি বছর যাতে এ রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে নে জন্য কর্তৃপক্ষ আরো বেশি সতর্ক থাকবে।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে