dhan-kata

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৪ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আগাম জাতের স্থানীয়্ ও হাইব্রিড জাতের ধানগুলো পাকতে শুরু  করেছে। শিলা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে বৈশাখের শুরুতেই কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার কৃষকরা।

গত ২০১৫ সালে আমন মৌসুমের শুরুতে তিন দফা বন্যায় বড় ধাক্কার মুখে পড়েন চাষীরা। তাই আর কোন দূর্যোগের কবলে যেন না পরতে হয় সেটা ভেবেই আনেকেই আবার আধা-পাকা ধানও কাটতে শুরু করেছেন । গাইবান্ধার কৃষকরা লাভের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করেন ধান চাষ করেন। কৃষকের পরিশ্রমে ইরি-বোরো মৌসুমের বিআর ২৮ ধান বেশ ভালো ফলন হয়েছে । তাই আর দেরী না করে তাড়া তারি বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা। কেননা প্রতি বছরেই বৈশাখী ঝড়ে ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়। তাই বৈশাখের শুরুতেই আগাম জাতের বোরো ধান কাটছে কৃষকরা । সাঘাটা উপজেলার কৃষক লাল মিয়া জানান, আগাম জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছি । আবহাওয়া ভালো না কখন যে কি হয় কে জানে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে ।

dhan-marai

ধানের দাম কম তাই লোকশান গুনতে হবে এবার কৃষকের। বাদিয়াখালি ইউনিয়নের কয়েক জন কৃষক জানান, ধানের দাম কম তাই লোকসান গুনতে হবে তাদের। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। এই পরিমান টাকা খরচের পর কৃষকের ঘরে বিঘা প্রতি ধান উঠছে ১৫ থেকে ১৭ মণ। বাজারে সাড়ে চারশ’ থেকে ৫ শ’ টাকার উপরে ধানের দাম উঠছে না। যার ফলে লাভ তো দুরের কথা-উৎপাদন খরচ তোলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন ।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আ ক ম রুহুল আমীন জানান, এবার গাইবান্ধা জেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে স্থানীয় জাতের ৫ শ ৯৮ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৩ হাজার ৫৫ হেক্টর এবং উফশী জাতের ৯ লক্ষ ৪ হাজার ৮ শ ১০ হেক্টর জমিতে চাষ করার লক্ষ মাত্রা ছিলো । সব মিলে চলতি ইরি-বেরো মৌসুমে আগাম জাতের ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে