মো:সাব্বির হোসেন রনি, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত সদস্যের নাম মো. মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া। তিনি হাতি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অপর প্রার্থী তহিদুল আমিন সুমন টিউবওয়েল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো. অলিউর রহমানের কার্যালয়ে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ী হন ফুল মিয়া। পরে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা অলিউর রহমান।

এর আগে, পলাশবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশবাড়ি এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণায় জানা যায়, মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া (হাতি) ও তহিদুল আমিন সুমন (টিউবওয়েল) ৫৬টি করে ভোট পেয়েছেন। পরে নির্বাচন আইন ২০১৬ এর বিধিমালা ৪১ ধারা মোতাবেক এবং দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার সাতটি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভেটগ্রহণ চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে সাত কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে ৫৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান সরকার আতা (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫২৩ ভোট। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরিফুল আসলাম হেলিকাপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র পাঁচ ভোট।

এছাড়া এই নির্বাচনে তিন জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন এবং ৬ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২২ জন। তবে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাদুল্লাপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যক্ষ এস এম আব্দুর রহমান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে