ডেস্ক রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী দেশ ও জনগণের কল্যাণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরী উল্লেখ করে বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি এর বস্তুনিষ্ঠতা এবং আরও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন (বিওএমএ) ৩ মে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস-২০১৭ উপলক্ষে ‘কঠিন বাস্তবতা মোকাবেলায় সুকৌশলী চেতনা : সমাজে শান্তি সুবিচার এবং ক্ষমতার অগ্রগতিতে সাংবাদিকতার ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও স্যুভেনির প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।বিওএমএ-এর সভাপতি জয়ন্ত আচার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ওমর ফারুক বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আমরা গণমাধ্যমের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, সংবাদ সংস্থা ও অনলাইনের সব জায়গায় স্বাধীন ও মুক্তভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। এসব জায়গায় কাজের ক্ষেত্রে নীতি, নৈতিকতা ও সঠিক নীতিমালা চাই। অনলাইন গণমাধ্যমের নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে যত বেশী দেরী হবে এর বিকাশও কাংখিত হবে না। তাই সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে নীতিমালাগুলো দ্রুত প্রণয়ন করার দরকার রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ আমরা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কথা বলছি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছি। দেশ স্বাধীন না হলে আজকে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারতাম না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়োিছলাম বলেই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি।প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, এটা এখন বাস্তবতা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।বিএফইউজে মহাসচিব ওমর ফারুক সাংবাদিকদের জন্য অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১২৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করুন। ওয়েজ বোর্ড শুধু আর্থিক নিরাপত্তার জন্য নয়, এর সাথে সাংবাদিকদের মান মর্যাদার বিষয়টিও জড়িত বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে বিওএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক একেএম শরিফুল ইসলাম খান, আইএনবি সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র খালেকুজ্জামান চৌধুরী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির, দৈনিক সময় সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ মোতাহার, বিওএমএ-এর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল্লাহ মামুন, দৈনিক ডিজিটাল সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক খালেদ সাইফুল্লাহ বক্তৃতা করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে