করোনার ভ্যাক্সিন নিয়ে মহাখুশি ষাটোর্ধ্ব আব্দুল মবিন মিয়া। সকাল থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অতঃপর মিলেছে কাঙ্খিত টিকা। আর তাই ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। ভ্যাক্সিন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নাজিম উদ্দিন নামের অপর এক টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি।

কিন্তু বিপত্তির কথা হচ্ছে, টিকা নিতে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেরই মিলছে না টিকা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কিছু মানুষ এসে নিজেদের পরিচিতজনদেরকেই দেখে দেখে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। এমন গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে, ডিএনসিসি ৫২নং ওয়ার্ড বাসিন্দাদের জন্য গণটিকাদানের নির্ধারিত স্থান আই.ই.এস স্কুল এন্ড কলেজ টিকা কেন্দ্রে।

সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনতার বালাই। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে ছুটে এসেছেন এসব মানুষেরা। এদের বেশিরভাগই টিকা নিতে আসলেও কেন্দ্রে এসে জানতে পারে টিকা শেষ হয়ে গেছে। এরকম ভুক্তভোগীর সংখ্যা ছিল অগণিত। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের অভিযোগ, টিকাদানের প্রথম দিনে মাত্র তিনশোজন নারী-পুরুষকে দেয়া হবে ভ্যাক্সিন, আর তাই টিকা পেতে হলে আসতে হবে আগামীকাল। আর তাই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

পঁয়ষট্টি উর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ ছেলেকে টিকা দিতে এসেছিলাম। এসে শুনি সিরিয়াল নাকি শেষ হয়ে গেছে। তাই কালকে আসতে হবে আরকি।’ টিকা নিতে আসা আরো এক বৃদ্ধ জানান, টিকা নাকি শেষ হয়ে গেছে। তিনশো জনকে প্রথম দিনে টিকা দেয়া হবে। তাহলে এত মানুষকে কেন ডাকা হলো? এই যে এতগুলো মানুষ এখানে জড়ো হলো এখান থেকেই তো করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ জিনিসগুলো কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত ছিল।

ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলার বিষয়টি ৫২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে বিশৃঙ্খলার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী মানুষদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে। যাতে করে এমন জনসমাগম না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। তবে আমরা চেষ্টা করছি সরকারের এই টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে।’

U/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে