ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের স্থাপিত এ মামলার অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ এএইচএম রুহুল ইমরান এ দিন ধার্য করেন। গতকাল এই আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য নির্ধারিত দিন ধার্য ছিল। কিন্তু  বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ্য থাকায় এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকায় কারা কতৃপক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চার্জ শুনানি মুলতবির আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়াকে কারা কর্তৃপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য ৮ আসামি হলেন- এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ঠিকাদার সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোর্টিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ছিল ১৬ জন। তবে এরইমধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর এবং ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যাওয়ায় আসামির সংখ্যা কমে ৯ জনে নেমেছে। নিজামী-মুজাহিদ ছাড়াও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলামও এ মামলার আসামি ছিলেন। তারাও মারা গেছেন। সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা তি সাধনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত) ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত) ১৬ জনকে আসামি করা হয়।  মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরইমধ্যে মামলার ১৬ জন আসামির ৭ জন মারা গেছেন।

D/D/N


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে