ডেস্ক রিপোর্টঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালানো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবাদের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ একথা জানিয়েছে।
গত ১৫ মার্চের ওই হামলায় ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও ৫১ জনকে হত্যা ও ৪০ জনকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অভিযোগে বলা হবে যে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।’
স্বঘোষিত শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ট্যারেন্ট ওই হামলা চালানোর পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা অ্যাডার্ন একে সুপরিকল্পিত ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত লঘু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের টেরোরিজম সাপ্রেশন অ্যাক্ট ২০০২ সালে প্রণীত হয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এই আইনের আওতায় কাউকে সাজা দেয়া হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রসিকিউটর ও সরকারের আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্যারেন্ট বর্তমানে অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি কারাগারে আটক আছে। বিচারের সম্মুখীন হওয়ার মতো তার মানসিক ভারসাম্য আছে কিনা তার পরীক্ষা চলছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানীর জন্য ১৪ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার নিহতদের পরিবারের সদস্য ও এই ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে