সিরাজগঞ্জথেকে,মারুফ সরকারঃসিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ট্রেনে হামলা ও ভাংচুরের ৪টি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। মামলার শুনানীতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবদীন। শুনানী শেষে বিচারক (ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।এই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) শামসুল ইসলাম ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।।কোটের আশে পাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারি ছিল চোখের পড়ার মত । সবএ ছিল তাদের অবস্থান । সবকটি গেটে পুলিশের তল্লাশি ছিল ।উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়িতে ছাত্র গণজমায়াতের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সমাবেশ চলাকালেদ্রুত গতির একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ৬ কর্মী নিহত হয়। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। এঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম হায়দার, সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক , তৎকালীন র‌্যাব-১২ এর ডিএডি, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার এসআই আছলাম আলী, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর জিআরপি থানার এএসআই গোলাম তৌহিদ, সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার এএসআই কাজী মো: সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মোট ৭টি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। গত ১০ এপ্রিল এসব মামলায় আদালতে আতœসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। পরে বিচারক জাফরোল হাসান জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে