বিডি নীয়ালা নিউজ(৩০ই মে১৬)-ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই অল্প কিছু লোক ‘জেনেই হোক আর অজান্তেই হোক’ সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে – এ কথা বলেছেন ওই ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “এটার ব্যাপারেই আরো অনুসন্ধান হচ্ছে যে এই দু-একজন কি জেনে কাজটা করেছে নাকি বোকমি করেছে।”
তিনি ইঙ্গিত দেন যে এদের চিহ্নিত করা হয়েছে – তবে তারা ‘উচ্চ পদের’ কেউ কিনা তা বলতে রাজি হন নি।
সরকার গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ফরাসউদ্দিন বলেন, ওই ঘটনার জন্য সুইফট-সহ দেশের বাইরের কিছু প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, সুইফটের গাফিলতি আছে। তাদের ইঞ্জিনিয়াররা সুইফট ও আরটিজিএস নামে দুটি আন্ত:ব্যাংক অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থাকে সংযুক্ত করে দিয়েছে – যার কোন দরকার ছিল না।
“মূল সমস্যা হচ্ছে আরটিজিএসের সাথে সুইফটের কানেকশন- এবং ওই কানেকসময় সুরক্ষা কবচ উঠিয়ে দেয়া। এটা না হলে ওই ঘটনা ঘটতো না।”
“সুইফটের অনুরোধেই এটা করার হয়, এবং করার সময় কিছু সুরক্ষা ফিচার নষ্ট করে ফেলে দেয়া হয়। এটা দেখেই আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধীরা প্ল্যান করে এই চুরিটা সংঘটিত করে।”
মি. ফরাসউদ্দিন বলেন, যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা দায়ী বলে মনে করেছিলাম, তাদের দায় কমেছে বলে মনে হয় না, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু লোকের সম্পৃক্ততা আমরা পেয়েছি।
“এই যে বাইরের সাইবার ক্রিমিনালরা এই চুরি করেছে, এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু লোক জেনে হোক বা অজান্তেই হোক তা ‘ফ্যাসিলিটেট’ করেছে। সেটারই আরো অনুসন্ধান হচ্ছে যে তারা জেনে করেছে নাকি বোকামি হিসেবে করেছে।”
এদিকে, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
গত ১৫ই মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির কার্যমেয়াদের ৭৫তম দিনে দুপুরে অর্থমন্ত্রীর কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
BBC