আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জামান বলেছেন, প্রায় আট হাজার বাংলাদেশি কুয়েতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। তারা সবাই দণ্ড ছাড়া কুয়েত ত্যাগের সুবিধা পেয়েছেন। এ সুযোগে বৈধ হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা একশ জনেরও কম!

তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে কুয়েতে চলমান সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২২শে এপ্রিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবৈধ বা অনিয়মিত লোকজন এ সুযোগে বৈধ হওয়া বা দণ্ড ছাড়া দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের মধ্যে তিন হাজার জনের পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল। তারা চটজলদি দেশটি ত্যাগ করতে পেরেছেন।

কাউন্সিলর বলেন, বাকি ৫ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট বা অন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট না থাকায় তাদের জরুরি ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। এদের অনেকেই দেশে ফিরে গেছেন। বাকিরা শিগগিরই ফিরছেন। ১০০ জনের কম বাংলাদেশি ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন।

কাউন্সিলর বলেন, কিছু বাংলাদেশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৈধ হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে সেই সংখ্যাও ৫০০ এর বেশি হবে না। কুয়েতে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রায় ২০ হাজার বাংলাদশি রয়েছেন। বৈধ-অবৈধ মিলে রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি। দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কুয়েতে বসবাসকারী প্রতি তিনজন অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে একজন সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। এর মোট সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। এরা হয়তো সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে বৈধ হয়েছেন না হয় কুয়েত ছেড়ে চলে গেছেন।

কোন দেশের কত সংখ্যক মানুষ এর আওতায় এসেছেন তা প্রকাশ না করলেও কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে বলেছে, আবাসিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীর সবচেয়ে বেশি মানুষের তালিকায় রয়েছে পাঁচটি দেশ। এ দেশগুলো হলো ভারত, ফিলিপাইন, মিশর, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

 

 

 

 

 

 

B/D/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে