ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে আটজন হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মোস্তাইন বিল্লাহ ।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল হক জানিয়েছেন, আদালতের জামিন নাকচের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে এজলাসে ওঠেন কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোস্তাইন বিল্লাহ বিল্লাহ। এরপরে খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ঢাকার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, কুমিল্লার কাজী নাজমুস সাদাত, মো. কাইমুল হকসহ অর্ধ শতাধিক আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের পর বিচারক খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে আটজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার মামলা করেন। তদন্ত শেষে বিস্ফোরক আইনে ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেয়। দুটি মামলাতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে খালেদা ঢাকার দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ায় কুমিল্লার মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এরপরে কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ওই আবেদন গ্রহণ করে গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ সেদিন তাকে হাজির না করায় বিচারক গত ৩১ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়। সেই আদেশ অনুযায়ী গত ৮ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানায়, বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। পরে বিচারক সেদিন খালেদা জিয়াকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

 

 

 

 

 

 

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে